‘জুলাই আন্দোলন না হলে আমি পুলিশ সুপার পদোন্নতি পেতাম না’
Published: 10th, February 2025 GMT
“আমরা যারা জুলাই আন্দোলন দেখেছি, এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছি। তারা আমরা সবাই আমাদের হৃদয়ে জুলাই-২০২৪ কে ধারণ করবো। আমি ধারণ করবো তো অবশ্যই। কারণ, আমি এটা বিশ্বাস করি যে, জুলাই-২০২৪ এর যে আন্দোলন সেটা যদি না হতো তাহলে আমি পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবেই রিটায়ার্ড করতাম এবং পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেতাম না।”
বলেছেন পাবনার পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খাঁন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-পাবনার উদ্যোগে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো মোরতোজা আলী খাঁন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি-পাবনার উপ পরিচালক ড.
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো মোরতোজা আলী খাঁন বলেন, “অনুষ্ঠানের ব্যানারের টাইটলেটা দেখে আমার মনে হলো যে এই শব্দটা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর জায়গায় বৈষম্যবিরোধী না বলে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বললে মনে হয় বেশি মানানসই হতো। বিগত দশ-পনের বছর ধরে আমরা খুব নগ্নভাবেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ঘটতে দেখেছি। এই ফ্যাসিবাদ যেন আর বাংলাদেশে ফিরে না আসে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মফিজুল ইসলাম বলেন, “যে উদ্দেশ্যে ছাত্ররা আন্দোলন করেছে যারা জীবন দিয়েছে, সেই মানুষের দোরগোড়ায়, বঞ্চিত মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করবো। সেইসঙ্গে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত এবং বঞ্চনামুক্ত একটি সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। দেশপ্রেম নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে আপনাদের দ্বারাই সম্ভব। আপনারা এগিয়ে যান, আমরা পাশে আছি।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার আহ্বায়ক বরকতউল্লাহ ফাহাদ। সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম।
ঢাকা/শাহীন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম প বন র
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ