টেন্ডার জমা নিয়ে ২ পক্ষের হাতাহাতি, মারধরে সাংবাদিক আহত
Published: 10th, February 2025 GMT
রাজবাড়ীতে বালুমহালের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে মারধরে আহত হয়েছেন এক সাংবাদিক। তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আহত সাংবাদিকের নাম ইমরান হোসেন মনিম। তিনি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত।
আরো পড়ুন:
আরএফইডির সভাপতি জেবেল, সম্পাদক রাব্বানী
প্রাণের মেলায় মিলেছিলাম
সাংবাদিক ইমরান হোসেন মনিম বলেন, “জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া বালু মহালের টেন্ডার ড্রপিং ছিল। সেখানে টেন্ডার জমা দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি ভিডিও ধারণ করলে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে পিটিয়ে আহত করে।”
তিনি আরো বলেন, “ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল। আমাকে মারধর করে জখম করা হলেও পুলিশ এগিয়ে না এসে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।”
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তিনি কল রিসিভ না করে কেটে দেন। যে কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিবের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া বালু মহালের টেন্ডার ড্রপিং উপলক্ষ্যে পুলিশ মোতায়েন ছিল। যেহেতু, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে, লিখিত পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা/রবিউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।