এবার নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম
Published: 11th, February 2025 GMT
১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পর এবার তিন নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম। এর মধ্য দুটি সরকারি নার্সিং কলেজ ও একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নাম পরিবর্তন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সিরাজগঞ্জের শেখ হাসিনা নার্সিং কলেজ, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন নার্সিং কলেজ ও পটুয়াখালীর বাউফলের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নার্সিং ইনস্টিটিউট। এসব নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন থেকে জেলার নামে (সিরাজগঞ্জ নার্সিং কলেজ, গোপালগঞ্জ নার্সিং কলেজ ও পটুয়াখালী নার্সিং ইনস্টিটিউট) পরিচিত হবে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয় শেখ পরিবারের নাম। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতির বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ঝিনাইদহ সদরের শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, রংপুরের ড.
গত বছরের ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার আরও ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম।
আরও পড়ুনশিক্ষা বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের শিক্ষক নিয়োগ দিতে ‘প্রি সার্ভিস একাডেমিক প্রোগ্রাম’ চালুর সুপারিশ৩ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ খ পর ব র র ন ম গ প লগঞ জ স র জগঞ জ বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ
কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই
ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি