বাংলাদেশ থেকে যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চান, তাঁদের জন্য তুরস্ক হতে পারে একটি গন্তব্য। শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার কারণে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্জন করছে জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও দেশটি উচ্চশিক্ষার অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। শিক্ষার্থীদের জন্য আছে নানা সুযোগ-সুবিধা ও স্কলারশিপ। তেমনি একটি স্কলারশিপ কোক স্কলারশিপ। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে দেওয়া হয় এ বৃত্তি। এর কেতাবি নাম ‘কোক বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ-২০২৫’।

কোক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তিতে বাংলাদেশসহ যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, জেনে নিন খুঁটিনাটি১৩ জানুয়ারি ২০২৫

স্নাতকোত্তরে সুযোগ-সুবিধা—

সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করবে

মাসে মাসে উপবৃত্তি

আবাসন সুবিধা

বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা

বৈজ্ঞানিক ইভেন্টে অংশ নিতে ভ্রমণ খরচ দেবে

পিএইচডিতে সুযোগ-সুবিধা—

সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ

মাসে মাসে মিলবে উপবৃত্তি

আবাসন সুবিধা

বেসরকারি স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা

ফ্রি এইচজিএস (ফাস্ট ট্রানজিট পাস) সুবিধা মিলবে

বৈজ্ঞানিক ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ভ্রমণ খরচ

ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ