বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইনস ডে) পালনের বিরুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি ক্যাম্পাসগুলোতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কনসার্টসহ যেকোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রশিবির তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ আহ্বান জানায়। পোস্টে সংযুক্ত ফটোকার্ডে লেখা ছিল, ভ্যালেন্টাইন আমাদের সংস্কৃতি নয়। ভালোবাসা দিবসকে না বলুন, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ করুন।

শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছাত্রশিবিরের পেজ থেকে আরও একটি ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়, যেখানে অভিভাবকদের উদ্দেশে বলা হয়, সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ, আপনার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় ব্যয় করুন। সন্তানকে একা ছেড়ে দেবেন না।

এরপর সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে আরেকটি পোস্ট দিয়ে সংগঠনটি আবারও জানায়, ভ্যালেন্টাইন আমাদের সংস্কৃতি নয়।

ছাত্রশিবিরের এই আহ্বান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি বরাবরই পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছে। অন্যদিকে, তরুণদের মধ্যে ভালোবাসা দিবস উদযাপনের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে।

এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে ভালোবাসা দিবসের কোনো মিল নেই। তাই সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

সংগঠনটির এই অবস্থানকে সমর্থন ও বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ য ল ন ট ইনস ড স গঠনট

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত

ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।

আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।

সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত