টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল ১৭টি ঝুটের দোকান
Published: 14th, February 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে আগুন লেগে ঝুটের ১৭টি দোকান পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টঙ্গী মিলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
টঙ্গী ফায়ার স্টেশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সারি বেঁধে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য ঝুটের দোকান। এর মধ্যেই আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি দোকান থেকে হঠাৎ ধোঁয়া উঠতে থাকে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে ঝুটের দোকানি ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ৪ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় উত্তরা ফায়ার স্টেশনের আরও তিনটি ইউনিট। সাতটি ইউনিটের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভে যায়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার শাহিন আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পাই ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করার ৩৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে সক্ষম হই। আগুনে ঝুটের ১৭টি দোকান পুড়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল