সোনারাগাঁয়ে অভিনব কায়দায় মালবাহী পিকআপে মাদক পাচার কালে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় মাদকদ্রব্য সরবারহের কাজে ব্যবহৃত ১টি পিক-আপ ভ্যান জব্দ করা হয়। শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারী। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার মুছাপুর ইউনিয়নের যোগীপাড়া লাঙ্গলবন্দ এলাকার মৃত হারুন এর ছেলে মোঃ সাইদুল ইসলাম (২৬), ও একই থানা ও ইউনিয়নের পিছ কামতাল এলাকার মনির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন ওরফে আল আমিন (২৫)। 

এর আগে শনিবার ভোরে উপজেলার মেঘনা টোল প্লাজা এলাকা থেকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারীর নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ জানায়, আষাঢ়িয়ারচর মেঘনা টোল প্লাজার সামনে একটি পিক-আপ গাড়ি তল্লাসি করে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য গাঁজা ক্রয় বিক্রয় করছিলো। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য গাঁজা এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে তারা। 

এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ বারী জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ