গুম ও আয়নাঘর বন্ধ, গুম সেল জাতির সামনে উন্মোচন করাসহ ছয় দফা দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ভয়েস ইনফোর্সড ডিসাপিয়ারড পার্সনের (ভোয়েড) উদ্যোগে শনিবার নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্তরা এতে অংশ নেন।
২০১৮ সালে ঢাকার নতুনবাজার এলাকা থেকে গুম হওয়া রেজাউল করিম অভিযোগ করেন, তার বন্ধু ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাকেও গুম করা হয়। ১৩ দিন গুম করে রাখার পর তাকে জঙ্গি সাজিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। বর্তমানে জামিনে আছেন। তিনি বলেন, দেশে আর কোনো স্বৈরাচার যেন আয়নাঘর ও গুম করতে না পারে।
কাইয়ুম হাওলাদার অভিযোগ করেন, মামলার সাক্ষী না হওয়ায় তাকে চার মাস গুম করে রাখা হয়। বরিশাল বিভাগে এমন ৫০ জন আছেন, যাদের গুম ও মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে তুলে ধরা দাবিগুলো হলো– গুম, আয়নাঘরসহ সব গুম সেল জাতির সামনে অনতিবিলম্বে উন্মোচন এবং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকদের এসব গোপন সেলে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা; গুম, খুন ও গণহত্যায় জড়িত পলাতক স্বৈরাচার হাসিনা, পরিবারের সদস্য ও তার রেজিমের কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যম বিচারের আওতায় আনা; গুম, মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ভবিষ্যতে গুম ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া; মিথ্যা ও সাজানো মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং সন্ত্রাসবিরোধী কালো আইন ও আইসিটি মামলা বাতিল করা।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ভোয়েড সমন্বয়কারী গুমের শিকার ইমরান হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার কাজী সিরাজ উদ্দিন, সাবেক বিজিবি সৈনিক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।