আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ২৫ হাজার
Published: 15th, February 2025 GMT
ফ্রান্সভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এজেন্সি ফর টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (অ্যাকটেড) বাংলাদেশে জনবল নিয়োগে পুনর্বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে একটি প্রকল্পে ‘প্রজেক্ট ম্যানেজার (ওয়াটার শেড ম্যানেজমেন্ট)’ পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
পদের নাম: প্রজেক্ট ম্যানেজার (ওয়াটার শেড ম্যানেজমেন্ট)পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং/ডেভেলপমেন্ট, ফরেস্ট্রি, এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস, ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান অ্যান্ড রুরাল প্ল্যানিং, জিওগ্রাফি অ্যান্ড ল্যান্ড ইউজ প্ল্যানিং, সমাজবিজ্ঞান বা এ ধরনের বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টে অন্তত তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রজেক্ট টিম ম্যানেজমেন্টে দুই বছর; কমিউনিটি এনগেজমেন্টে অন্তত দুই বছর; কো–অর্ডিনেশনে অন্তত দুই বছর; ওয়ার শেড ম্যানেজমেন্টে অন্তত দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সাইট ম্যানেজমেন্ট ও সাইট ডেভেলপমেন্টে দক্ষ হতে হবে। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট ও রিসার্চে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সাংগঠনিক দক্ষতা থাকতে হবে। রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রামে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। ফিল্ড ভিজিটের মানসিকতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম/চুক্তিভিত্তিক
আরও পড়ুনকারা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৫০৫১১ ঘণ্টা আগেকর্মস্থল: কক্সবাজার
বেতন: ১,২০,০০০-১,২৫,০০০ টাকা।
আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নির্ধারিত আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। ফরমটি ইংরেজিতে পূরণ করে কভার লেটারসহ সিভি [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। ই-মেইলের সাবজেক্টে ‘Application for Project Manager (Watershed Management)’ লিখতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আরও পড়ুনকানাডা হাইকমিশনে চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন বছরে ৩৫ লাখ৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ই বছর
এছাড়াও পড়ুন:
সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজন করতে না দেওয়ার দাবি
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের (সাদপন্থী) ইজতেমা আয়োজন করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থী) অনুসারীরা। পাশাপাশি তাঁরা সরকারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আগামী বছরের মার্চ মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা করার কথাও বলেছেন। গত আয়োজনে ইজতেমা মাঠে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সাজা নিশ্চিতের দাবিও জানান তাঁরা।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ‘হযরত ওলামায়ে কেরাম ও দাওয়াত ও তাবলিগের সাথীবৃন্দের’ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তাবলিগের শুরায়ে নেজামের সাথী মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘কোরআন ও হাদিসের কথা যারা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে, তাদের ইসলামি দাওয়াতের এই ময়দানে জায়গা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাসুল (সা.)-এর তরিকা, সুন্নাহ ও হাদিসের অনুসরণে যারা তাবলিগি কার্যক্রম পরিচালনা করে, কেবল তারাই ইজতেমা করার অধিকার রাখে।’
মুফতি আমানুল হক আরও বলেন, ‘সরকারের ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সাদপন্থীরা শেষবারের মতো টঙ্গী ময়দানে ইজতেমা করার অনুমতি পেয়েছিল। সেই প্রজ্ঞাপনে তাদের স্বাক্ষরও রয়েছে। সরকার তখনই বুঝেছিল—একই মাঠে দুই পক্ষের ইজতেমা আয়োজন দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘গত বছরের ১৮ ডিসেম্বরের রাতে সাদপন্থীদের অনুসারীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের বাংলাদেশি নেতা ওয়াসিফ সাহেবের চিঠিতে উল্লেখ ছিল, “যুগটা ব্যতিক্রমী, সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসবে”—এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ঘুমন্ত মুসল্লিদের ওপর টর্চলাইট নিয়ে হামলা চালানো হয়, যা একতরফা সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছিল।’ তিনি দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও প্রমাণিত হয়েছে, ‘এ হামলা একতরফাভাবে সাদপন্থীদের পক্ষ থেকেই হয়েছিল।’
মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী ও ইসলামবিরোধী মহলের প্ররোচনায় তাবলিগ জামাতে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা বেআইনি পথে টঙ্গী ইজতেমা মাঠ ও কাকরাইল মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এমনকি তাঁরা সরকারকে বিব্রত করতে ‘যমুনা ভবন ঘেরাও’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিশৃঙ্খলাকারীদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং শুরায়ে নেজামপন্থীদের কাকরাইলে দাওয়াত কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয় বলে জানান মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির ৬৩ নম্বর স্মারকে বলা হয়, সাদপন্থীরা শেষবারের মতো ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গীতে ইজতেমা করতে পারবে, এরপর আর নয়। তারা স্বাক্ষর দিয়ে সেই শর্ত মেনে নিয়েছিল।
শুরায়ে নেজামপন্থীরা বলেন, ‘আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। আগামী বছরের মার্চে ইজতেমা আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নেজাম (জুবায়েরপন্থী) অনুসারীরা। তাঁদের দাবিগুলো হলো ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা, টঙ্গী ইজতেমা মাঠকে অস্থায়ীভাবে ‘কেপিআই’ হিসেবে ঘোষণা, বিদেশি মেহমানদের ভিসা সহজীকরণের পরিপত্র নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ ও গত বছরের ইজতেমা মাঠে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মতিন উদ্দিন আনোয়ার, রুহুল আমিন এবং তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ে নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।