দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে রেলওয়ে ব্রিজের সংস্কার কাজে বিএসএফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিজিবি বলছে, বিএসএফের বাধা দেওয়ার কথা নয়। তারপরেও কেন তারা এমন করলো ঘটনাটি আলোচনা করে দেখা হবে। 

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে ধরন্দা গ্রামের কয়েক গজ পশ্চিমে সীমান্তবর্তী রেলওয়ে ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হয়। সেখানে ইট-বালু দিয়ে কাজ চলছিল। গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলের কাছে এসে কাজ বন্ধ করতে বলে। এসময় শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে চলে যায়।

হিলি রেলওয়ের টাইম কিপার আরাফাত রহমান বলেন, “হিলি সীমান্তের ধরন্দা গ্রাম সংলগ্ন রেলওয়ে ব্রিজের নিচের অংশে পাথর সরে দেবে গেছে। একারণে ট্রেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছিল। এক সপ্তাহ আগে রেলওয়ে বিভাগ থেকে সংস্কার কাজ করার উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে শ্রমিকেরা এই সংস্কার কাজ শুরু করে। কাজ চলমান রয়েছে, এমন অবস্থায় গতকাল শনিবার বিকালে কোন কারণ ছাড়াই ভারতের বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা এতে বাধা দেয়। ফলে ব্রিজের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি স্থানীয় হিলি বিজিবি ক্যাম্পে জানানো হলে তারা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের সাথে আলোচনা করে। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে কাজ শুরু করার কথা বলে। কিন্তু কাজ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দিচ্ছে। এ কারণে শ্রমিকেরা সেখানে কাজ করতে চাচ্ছে না। বিষয়টি আবারও বিজিবিকে জানানো হয়েছে।”

হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, “শুনেছি বিএসএফ সদস্যরা ব্রিজের সংস্কার কাজ করতে দিচ্ছে না। ফলে এই রেলপথ দিয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, নীলফামারী ও পঞ্চগড়গামী ট্রেন ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ব্রিজের কাজ দ্রুত সংস্কার করা দরকার।”

এ বিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মো. নাহিদ নেওয়াজ পিএসসি বলেন, “কিছুদিন আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে আমাদের জানায় তারা ধরন্দা রেলওয়ে ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু করবে। সে অনুয়ায়ী গত ৩০ জানুয়ারি বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে মিটিংয়ে বিষয়টির ব্যাপারে বিএসএফকে জানানো হয় এবং তারা আপত্তি করবে না বলে জানায়। কিন্তু ওই বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। যারা নতুন এসেছে আমরা তাদের সাথে আলোচনা করছি। দ্রুত কাজ শুরু হবে।”

তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।”

ঢাকা/মোসলেম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র ব ক জ কর ব ষয়ট র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা