কনসার্ট বাতিল, হাসপাতালে ভর্তি শাকিরা
Published: 17th, February 2025 GMT
পেটের পীড়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কলম্বিয়ান জনপ্রিয় পপ তারকা শাকিরা। এতে পেরুর লিমায় অনুষ্ঠিতব্য কনসার্ট বাতিল করা হয়েছে। খবর রোলিং স্টোনের।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে হঠাৎ পেটের ব্যথা শুরু হয় শাকিরার। তীব্রতা বাড়লে রোববার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে অসুস্থতার সংবাদ জানিয়ে নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছেন পপ তারকা। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত রাতে পেটের তীব্র ব্যথার কারণে আমাকে জরুরি বিভাগে যেতে হয়েছে। বর্তমানে আমি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে আছি এবং চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আপাতত বর্তমানে মঞ্চে পারফর্ম করা বারণ।
পেরুর ভক্তদের উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে শাকিরা বলেন, শো স্থগিত করতে হওয়ায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি পেরুর দর্শকদের সামনে পারফর্ম করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। আমাদের টিম ও কনসার্টের আয়োজকরা নতুন তারিখ নির্ধারণে কাজ করছেন। শিগগিরই তা ঘোষণা করা হবে।
ভক্তদের উদ্দেশে ৪৮ বছরের এই গায়িকা বলেন, ‘আমি তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি। বিষয়টা বোঝার জন্য ধন্যবাদ।’ শাকিরার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভকামনা জানাচ্ছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ