৭ মাসের সাজা থেকে বাঁচতে ১০ বছর পলাতক, অবশেষে গ্রেপ্তার
Published: 18th, February 2025 GMT
৭ মাসের সাজা থেকে বাঁচতে ১০ বছর পলাতক ছিলেন তিনি, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ঝালকাঠির নলছিটির মুছা ওরফে বাদল হাওলাদার (৫২)।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বিহঙ্গল এলাকা থেকে মুছাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার বাদল হাওলাদার ওই এলাকার মুজাহার হাওলাদারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নলছিটি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাওসার আহম্মেদ বলেন, ২০১৪ সালে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার একটি মাদক (গাঁজা) মামলায় মুছাকে সাত মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। এর পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ১০ বছর পলাতক থাকার পর আসামি বাদল বাড়িতে এলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।