গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কুলখানির দাওয়াত খেয়ে দুই শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী রিফাইতপুর গ্রামে ইজিবাইক চালক বেলালের মায়ের কুলখানি (মজলিস) অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। খাবার গ্রহণের পর মধ্যরাত থেকে অনেকের ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়। সোমবার সকাল থেকে অসুস্থদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২৪ জন গাইবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৫১ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ আরিফা খানম জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.

রফিকুজ্জামান বলেন, মজলিসের আটার ডাল খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা স্বল্প জনবল নিয়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: খ দ যপণ য

এছাড়াও পড়ুন:

ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে

একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।

এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।

আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।

সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ