লা লিগা ছেড়ে অন্য লিগে খেলবে রিয়াল?
Published: 18th, February 2025 GMT
লা লিগা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের অন্য কোন লিগে খেলার কথা ভাবছে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বোর্ড। সম্প্রতি জুড বেলিংহামকে লাল কার্ড দেখানোর ঘটনায় এমন সিদ্ধান্তের পথেই নাকি হাঁটছে রিয়াল মাদ্রিদ।
স্প্যানিশ আউটলেট স্পোর্ত দিয়েছে এমন খবর। তাদের মতে, স্পেনের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল ছেড়ে ইউরোপের বাকি চার শীর্ষ লিগের কোন একটিতে খেলার কথা ভাবছে লস ব্লাঙ্কোসরা। সেক্ষেত্রে ইতালির সিরি আ, জার্মান বুন্দেসলিগা ও ফ্রান্সের লিগ ওয়ান নাকি হতে পারে রিয়ালের সম্ভাব্য নতুন ঠিকানা।
তবে এক লিগ ছেড়ে অন্য লিগে যাওয়া বললেই যাওয়া নয়। তার জন্য অন্তত চারটি সংগঠনের অনুমতি নিতে হবে। লা লিগা ছাড়ার জন্য রয়েল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের ছাড়পত্র নিতে হবে। এরপর যে লিগে খেলবে ওই লিগ কর্তৃপক্ষকে রাজি হতে হবে। সঙ্গে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের নীতিনির্ধারক উয়েফার ছাড়পত্র নিতে হবে।
রিয়াল মাদ্রিদ গত লিগ ম্যাচে ওসাশুনার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে। যে কারণে লা লিগার শীর্ষস্থান হারিয়েছে তারা। ওই ম্যাচে ৩৭ মিনিটে জুড বেলিংহামকে সরাসরি লাল কার্ড দেন রেফারি। ইংলিশ ফুটবলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেফারিকে গালি দিয়েছেন তিনি।
তবে ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রেফারি আসলে বেলিংহামের ইংরেজির যথাযথ অর্থ বুঝতে পারেননি। বেলিংহাম নিজের ওপরই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। অথচ রেফারি মনে করেছেন, তাকে গালি দিয়েছেন রিয়াল মিডফিল্ডার। যে কারণে দেখিয়ে দেন সরাসরি লাল কার্ড। গালি দিলে অবশ্য বেলিংহাম ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় পড়তেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব