ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক, জেলেনস্কির কড়া প্রতিক্রিয়া
Published: 18th, February 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রথমবারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই বৈঠকে ইউক্রেন বা ইউরোপের কোনো দেশের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাঝে সম্ভাব্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পথ উন্মুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইয়োরি উশাকভ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ অংশ নিয়েছেন।
গত সপ্তাহে পুতিন ও ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পরই রিয়াদে এই বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। তবে ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে শান্তি আলোচনা করায় কিয়েভের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, “আমাদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো চুক্তি আমরা মানবো না।”
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোও এই আলোচনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, ইউরোপকে পাশ কাটিয়ে যুদ্ধ অবসানের আলোচনা মহাদেশটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। ইইউ সদস্য দেশগুলো এই আলোচনায় তাদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
রিয়াদে বৈঠক শুরুর আগে গণমাধ্যমকে স্বল্প সময়ের জন্য দৃশ্য ধারণের অনুমতি দেওয়া হয়, এরপর কেবল দুই দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হয়।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ আরব ইউক র ন ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক