‘টানা ৬০ ঘণ্টার শুটিংয়ে ৯ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি’
Published: 18th, February 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। ২০১২ সালে তিনি নির্মাণ করেন ‘হেমলক সোসাইটি’। আলোচিত এ সিনেমার আদলে সৃজিত নির্মাণ করছেন ‘কিলবিল সোসাইটি’। পূর্বের মতো সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন পরমব্রত চ্যাটার্জি। তবে কোয়েল মল্লিকের পরিবর্তে নেওয়া হয়েছে কৌশানী মুখার্জিকে।
কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে সিনেমাটির শুটিং হবে। এখন জোর কদমে চলছে দৃশ্যধারণের কাজ। তবে ‘কড়া পরিচালক’ সৃজিত দৌড়ের উপরে রেখেছেন অভিনয়শিল্পীদের। কারণ টানা শুটিং করতে হচ্ছে। ঘুমানোরও ফুসরত পাচ্ছেন না।
কৌশানী মুখার্জি বলেন, “গত ৬০ ঘণ্টার শুটিংয়ে মাত্র ৯ ঘণ্টা ঘুমানোর সুযোগ হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
জীবনকে খুব সিরিয়াসলি নিই না: রাশমিকা
কাঞ্চনকে না পেলে বিয়েই করতাম না: শ্রীময়ী
টলিপাড়ার অন্দরে পুরোনো চর্চা— সৃজিত মুখার্জি খুব কড়া পরিচালক। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো দৃশ্য তার মনের মতো না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অভিনেতাদের ‘রিটেক’ চলে। যদিও শুটিংয়ের পাশাপাশি সেটে হাসিতামাশাও করেন এই নির্মাতা।
পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন সৃজিত। জানা যায়, পরম-কৌশানী ছাড়াও সিনেমাটিতে দেখা যাবে সন্দীপ্তা সেন, বিশ্বনাথ বসু, অনিন্দ্য চ্যাটার্জিকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?