বিএনপিতে সুযোগ সন্ধানীদের স্থান নেই: দুলু
Published: 18th, February 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বিএনপিতে সুযোগ সন্ধানীর স্থান নেই। অথচ দলে আসার জন্য তারা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকবে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচয় ও কর্মিসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সবাই এক থাকব। আগামীতে তার নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে যাবে।’’
আরো পড়ুন:
উপদেষ্টাদের উদ্দেশে ফখরুল
‘ক্ষমতার খায়েশ থাকলে পদত্যাগ করে দল গঠন করুন’
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: সেলিমা রহমান
তিনি বলেন, ‘‘বিগত ৪২ বছর শতকষ্ট ও নির্যাতনের মধ্যেও দলের হাল ধরে সাহসিকতার সঙ্গে দলকেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। অথচ দলের সুদিনে সুযোগ সন্ধানী অনেকে দলে আসার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের সব অপচেষ্টা ভেস্তে যাবে। এসব সুযোগ সন্ধানীদের দলে স্থান দেওয়া যাবে না।’’
দুলু আরো বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচন নিয়ে নানারকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটি মহল নির্বাচন বানচাল করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমি বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, তা দেশের জনগণ জবাব দেবে। দেশ নিয়ে অনেকবার চক্রান্ত হয়েছে কিন্তু কেউ সফল হয়নি। তাদের সব ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ভেস্তে যাবে। দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা একসঙ্গে ছিলাম এবং মৃত্যু পর্যন্ত একসঙ্গে থাকব- ইনশাআল্লাহ।’’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো.
এছাড়া জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থক, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/আরিফুল/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র ক ন দ র য় ষড়যন ত র কম ট র গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা