শ্যামলছায়া পার্ক থেকে সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) মিয়াজী আটক
Published: 19th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সালাউদ্দিন মিয়াজী মঙ্গলবার রাতে যশোর থেকে আটক হয়েছেন। এ সময় তাঁর শ্যালক জাকির হোসেনকে হেফাজতে নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সন্ধ্যা থেকে মিয়াজী ও তার শ্যালককে মিয়াজীর মালিকানাধীন যশোর সদরের রুদ্রপুর গ্রামের শ্যামলছায়া পার্কে অবরুদ্ধ করে রাখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। তারা উত্তেজিত ছাত্র জনতার সঙ্গে আলোচনার পর রাত সাড়ে ১১টায় মিয়াজী ও তার শ্যালককে হেফাজতে নেয়।
পুলিশ জানায়, তাদের যশোর ডিবি অফিসে নেওয়া হয়েছে। যশোর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে যৌথবাহিনী সালাহউদ্দিন মিয়াজী ও তাঁর শ্যালককে হেফাজতে নিয়েছে। তাদের ব্যাপারে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মেজর জেনারেল (অব.
স্থানীয় ও প্রত্যদর্শীরা জানায়, সালাহউদ্দিন মিয়াজী ও তাঁর শ্যালক দীর্ঘদিন তাঁদের মালিকানাধীন শ্যামলছায়া পার্কে আত্মগোপন করেছিলেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্যামলছায়া পার্কের প্রধান ফটক ঘিরে ফেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির বেশকিছু নেতাকর্মীসহ স্থানীয় কিছু লোকজন। এ সময় তাঁরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান এবং উত্তেজিত ছাত্রজনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তেজিত জনতা সালাহউদ্দিন মিয়াজীকে গ্রেপ্তার না করলে ঘটনাস্থল ছাড়বেন না বলে আল্টিমেটাম দেন। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে সালাহউদ্দিন মিয়াজী ও তাঁর শ্যালককে হেফাজতে নেন যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, এখানে শেখ হাসিনার ডামি এমপি মিয়াজি আত্মগোপনে রয়েছে শুনে গ্রামবাসী ও ছাত্ররা পার্কে আসে। মিয়াজির লোকজন তাদের মারধর করে। খবর পেয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারাসহ স্থানীয় গ্রামবাসী জড়ো হয়ে পার্ক ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আমাদের সহযোগিতায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের আটক করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক আওয় ম ল গ স ল হউদ দ ন ম য় জ র শ য লকক খবর প
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক