গোয়ালন্দে আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজমা বেগম গ্রেপ্তার
Published: 19th, February 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় নাজমা বেগম (৪২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নাজমা বেগম উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর রমজান মাতুব্বর পাড়ার ইউনুছ শেখের স্ত্রী এবং উজানচর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর রমজান মাতুব্বরপাড়া থেকে নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম এলাকার শাহজাহানের ছেলে ও রাজবাড়ী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র শরীফুল ইসলাম ৫৯ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও আরও ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে গোয়ালন্দ রেলগেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণসহ নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর রমজান মাতুব্বর পাড়ায় অভিযান চালিয়ে নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরেই তাকে রাজবাড়ীর আদালতে প্রেরণ করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ গ র প ত র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?