রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় নাজমা বেগম (৪২) নামে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার নাজমা বেগম উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর রমজান মাতুব্বর পাড়ার ইউনুছ শেখের স্ত্রী এবং উজানচর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

বুধবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম। এর আগে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর রমজান মাতুব্বরপাড়া থেকে নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম এলাকার শাহজাহানের ছেলে ও রাজবাড়ী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র শরীফুল ইসলাম ৫৯ জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও আরও ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে গোয়ালন্দ রেলগেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণসহ নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উজানচর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানচর রমজান মাতুব্বর পাড়ায় অভিযান চালিয়ে নাজমা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরেই তাকে রাজবাড়ীর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ গ র প ত র কর আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়। 

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ