খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫
Published: 19th, February 2025 GMT
খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি-ভিত্তিক আয়োজন ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫’। স্থানীয় তরুণদের প্রযুক্তিজ্ঞান বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কার্নিভ্যাল ২২ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি টাউন হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে থাকছেন দেশবরেণ্য প্রযুক্তিবিদ, উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা। এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তির বিভিন্ন খাত, ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং নেটওয়ার্কিং–সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা ও কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন।
পার্বত্য এলাকাগুলোতে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এখনো অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সীমিত। তরুণদের আইটি খাতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আয়োজকেরা। এডুলাইফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, অনুষ্ঠানটিকে জাঁকজমকপূর্ণ করতে সবার অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। এই অনুষ্ঠান খাগড়াছড়ি আইটি কমিউনিটির জন্য নতুন ও ভালো কিছু বয়ে আনবে। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতেও যে আইটিবিষয়ক চর্চা হয়, এটা পুরো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরায় এই আয়োজনের উদ্দেশ্য।
স্পিকার হিসেবে কারা থাকছেন কার্নিভ্যালেহিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালের অন্যতম আকর্ষণ প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তা খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি। অতিথি হিসেবে থাকবেন শীর্ষস্থানীয় প্রোগ্রামার, সব ও অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা, তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক লেখকসহ ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং খাতের আরও অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের আগ্রহ বাড়ছেগত বছর প্রথমবারের মতো আয়োজিত হওয়া ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এবার আরও বৃহৎ পরিসরে আয়োজনের ফলে তরুণদের আগ্রহ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রাক্-নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসনসংখ্যা সীমিত থাকায় আগ্রহীদের দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
প্রযুক্তিনির্ভর পেশা গড়তে এবং সম্ভাবনাময় এই খাত সম্পর্কে জানার জন্য পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। অংশগ্রহণকারী সবার জন্য থাকবে তথ্যপ্রযুক্তিশিল্পের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিজেদের ব্যবসা কিংবা পেশা গড়ার নানা দিকনিদের্শনা ও তাঁদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানার সুযোগ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ আয় জ ত র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
আর মাত্র ২ মাসের কম সময় বাকি দুর্গোৎসবের। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি। এই উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। যদিও তা করা হয় ভারতের অনুরোধে। আর এবারও সেই অনুরোধের ব্যতিক্রম হলো না।
গত বছর পূজা মৌসুমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপের ফলে, ভারত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়।”
আরো পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
এরপরই লেখা হয়েছে, “দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায়, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।”
তবে প্রতিবছর অনুমোদিত ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রপ্তানি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর (২০২৩) ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছি।”
এই সমস্যার কারণ হিসেবে রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে দায়ী করা হয়েছে। ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই। কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, যে দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।”
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ