মোবাইলে কথা বলতে বলতে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে হাত বিচ্ছিন্ন
Published: 20th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে চলন্ত ট্রেনে উঠার সময় পড়ে গিয়ে এক যাত্রীর এক হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আমজাদ হোসেন নওগাঁর আত্রাই থানার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমজাদ হোসেন দ্রুতযান এক্সপ্রেসে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফমে থামলে আমজাদ হোসেন কিছু কিনতে নামেন। এ সময় মোবাইলে কল আসায় তিনি কথা বলতে বলতে ট্রেনে উঠার সময় হাত ফসকে পড়ে যান। এতে তার বাম হাত ট্রেনের নিচে পড়ে কাটা পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়৷
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
যমুনা রেল সেতুতে যাত্রীবাহী ট্রেন উঠছে আজ
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রাকিবুর রহমান জানান, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি জামতৈল স্টেশনে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে আসে। এ সময় এক যাত্রী প্ল্যাটফর্মে নেমে কেনাকাটা করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। বিষয়টি জিআরপি থানাকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/অদিত্য/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।