সামুদ্রিক মাছ মানুষের চেহারা আলাদা করে চিনতে পারে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ারের (এমপিআই-এবি) একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের তথ্যমতে, সামুদ্রিক মাছ মানুষের মধ্যে পার্থক্য শনাক্ত করতে পারে। আর তাই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নির্দিষ্ট ডুবুরিদের চিনতে পারে।

বিজ্ঞানী মেলান টোমাসেক জানিয়েছেন, কেউ কখনো আসলে জানার চেষ্টা করেননি সামুদ্রিক মাছের মানুষের চেহারা শনাক্ত করার কোনো ক্ষমতা আছে কি না বা প্রকৃতপক্ষে তারা মানুষ চিনতে পারে কি না। আমরা পানির নিচের জগতে প্রবেশ করার পর জানতে পেরেছি, এসব মাছ আমাদের চিনতে পারে। সামুদ্রিক মাছ স্বতন্ত্রভাবে মানুষকে চিনতে পারে। তারা নির্দিষ্ট ডুবুরিদের অনুসরণ করে। মাছ জানে, কে তাদের পুরস্কৃত করবে। বায়োলজি লেটার্সে এই গবেষণা নিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা ভূমধ্যসাগরের আট মিটার পানির নিচে গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে সামুদ্রিক মাছ বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে বেশ অভ্যস্ত বলা যায়। গবেষণার সময় প্রথমে মাছ কোনো ডুবুরিকে অনুসরণ করে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হয়। দেখা যায়, মাছগুলো ধীরে ধীরে ডুবুরিদের চিনতে পেরেছে।

বিজ্ঞানীদের আশপাশে থাকা কয়েক ডজন মাছের প্রজাতির মধ্যে দুটি প্রজাতির মাছের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়, যার মধ্যে ‘ব্রিম’ প্রজাতির মাছ বেশি সাড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ক্যাটিংকা সোলের বলেন, ‘আমি সমুদ্রে নামার সঙ্গে সঙ্গে মাছেরা আমার দিকে সাঁতার কেটে আসতে থাকে। আমি পিঠে দুটি চকচকে রুপালি আঁশের একটি মাছের নাম দিই ‘বার্নি’ আর আরেকটি মাছের নাম দিই ‘আলফি’, যার লেজের পাখনা একটু ছেঁড়া ছিল।’

গবেষণার তথ্যমতে, ১২ দিনের প্রশিক্ষণের পর প্রায় ২০টি মাছ নিয়মিত বিজ্ঞানী সোলারকে অনুসরণ করেছে। পরে বিজ্ঞানী সোলার অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমুদ্র নামেন। তখন দেখা যায়, বিজ্ঞানী সোলারকে যেসব মাছ চিনত, সেগুলো সবই তার কাছাকাছি অবস্থান করছে।

সূত্র: ফিজিস ডট অর্গ

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ