গান শেষ করে জঙ্গলে লুকাতে বাধ্য হন ব্যান্ড কৃষ্ণপক্ষ সদস্যরা
Published: 21st, February 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন চারুকলা সংসদ (ববিচাস) আয়োজিত কনসার্টে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে ব্যান্ড কৃষ্ণপক্ষকে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ‘বাসন্তিক’ উৎসবের অংশ হিসেবে কনসার্ট চলছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে চেয়ার ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় ব্যান্ডটি তাদের ‘ভাঙা সাইকেল’ গানটি দ্রুত শেষ করে মঞ্চ থেকে নেমে যায়। বিক্ষোভ বাড়তে থাকলে তারা তাদের গাড়িতে করে পাশের জঙ্গলের রাস্তায় অবস্থান নেয়। সেখানেই প্রায় দুই ঘণ্টা লুকিয়ে থাকে ব্যান্ডটির ৭ সদস্য।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দলটির গায়ক তারেক হোসেন। তিনি জানান, রাত ১২টা ৫০ থেকে ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তারা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হন তারা। এ সময় গাড়ির সব লাইট বন্ধ রেখে নীরবে অপেক্ষা করেন।
তিনি বলেন, ‘ববিচাসের আয়োজকদের প্রাণভরা আমন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা সবই ভীষণ সুন্দর ও অমায়িক ছিল। সমস্যা যা কিছু তা শুরু স্টেজ এ নামার কিছুক্ষণ আগ থেকে। স্টেজের বিপরীত প্রান্ত থেকে উন্মত্ত চিৎকার চেঁচামেচি ও গালাগালি শোনা যায়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা সংসদের আয়োজকদের চোখে মুখে আমি মূর্তিমান আতংক দেখি। পেশী শক্তির প্রদর্শনও তখন স্পষ্ট ছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শুরুতে ব্যান্ড সদস্যদের কোনো নিরাপদ স্থানে রাখার ব্যবস্থা করেননি বলে কৃষ্ণপক্ষের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক সংগঠন চারুকলা সংসদ (ববিচাস) কনসার্টের আয়োজন করে, যা চলছিল রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত। হঠাৎ শেরেবাংলা হল ও বিজয়-২৪ হলের কয়েকজন ছাত্র পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটার কথা বলে হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে দুই হলের শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মুক্তমঞ্চের দিকে আসেন। সেসময় বেশ কিছু চেয়ার, মনিটর ও বাশের বেড়া ভেঙে ফেলা হয়।
রাত দেড়টার পর নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।