বর্ণমেলায় রঙে-বর্ণে মাতোয়ারা শিশুরা
Published: 21st, February 2025 GMT
আরওয়া আজবাহ নার্সারিতে পড়ে। অ, আ, ই—বর্ণগুলো সে লিখতে শিখেছে মাত্র। একটি সাদা টি–শার্টে সে এই কটি বর্ণই রং-তুলি দিয়ে এঁকেছে। পাশেই ওর বাবা-মা দাঁড়িয়ে ছিলেন। আরওয়াকে তাঁরা বারবার বলছিলেন, ‘মা, হয়েছে?’ আরওয়া বলে, ‘আরও আঁকব।’
আরওয়ার মা শামিমা জাহান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মেয়ে কয়েকটি বর্ণ আঁকা শিখেছে। আর পতাকা আঁকা শিখেছে। সে সেগুলোই আঁকছে। ওর ভালো লাগছে আঁকতে, তাই থামতে চাইছে না।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় রাজধানীর ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মেরিল বেবি-প্রথম আলো ‘বর্ণমেলা’র অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। সেই বর্ণমেলার ‘বর্ণায়ন’ স্টলে এভাবে ছবি আঁকায় মত্ত ছিল আরওয়া।
বর্ণায়ন স্টলের সুমন চন্দ্র রায় বলেন, ছোটরা ১০০ টাকায়, বড়রা ১৫০ টাকায় একটি করে সাদা টি–শার্ট কিনতে পারে। এখান থেকে রং-তুলি দেওয়া হয়। তারা নিজেদের মতো করে বর্ণ বা যেকোনো কিছু আঁকতে পারে। পরে রং করা টি–শার্ট তারা নিয়ে যায়।
বর্ণমেলায় বর্ণায়নের মতো আরও অনেক আয়োজন থাকে, যেখানে শিশুরা নিজের ভাষা সম্পর্কে জানতে পারে, অংশগ্রহণ করতে পারে। আর এসব বর্ণখেলায় শিশুরা আনন্দের সঙ্গে সময় পার করে।
বর্ণমেলায় তুলির আঁচড়ে নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলে শিশুরা। একুশে ফেব্রুয়ারি, ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পুকুরে ডুবে মারা গেছে একমাত্র মেয়ে, হেলিকপ্টারে এসে চিরবিদায় জানালেন প্রবাসী বাবা
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের ওসমান গণি ওরফে বাদল বিয়ে করেছেন বছর পাঁচেক আগে। তিন বছর আগে কন্যাসন্তানের বাবা হন তিনি, আদর করে মেয়ের নাম রাখেন আরওয়া আক্তার। দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী ওসমান গণি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ খবর পান, বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে মারা গেছে তাঁর একমাত্র আদরের কন্যা।
তিন বছর বয়সী একমাত্র কন্যাসন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে আসার জন্য তাৎক্ষণিক বিমানের টিকিট কাটেন ওসমান গণি। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এরপর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু আরওয়া আক্তার