মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন, সামুদ্রিক পরিবেশ সংরক্ষণের তাগিদ
Published: 22nd, February 2025 GMT
‘সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় ২০০ কিলোমিটারের আলট্রা ম্যারাথন। আজ শনিবার ম্যারাথনের প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে। ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই ইভেন্টের আয়োজন করে।
আয়োজকদের প্রধান সমন্বয়কারী সুফি মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, পরিচ্ছন্ন উপকূলের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের সঙ্গে দায়িত্বশীল পর্যটনের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই এই ইভেন্টের উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন আয়োজিত হলো। পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্রের তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথন ভূমিকা রাখবে।
দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদ ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের সহায়তার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখা হয়। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল ও ২০০ কিলোমিটার—এই ৪ ক্যাটাগরিতে দৌড়ে অংশ নেন। ২০০ কিলোমিটার দৌড়ের শেষবিন্দুতে প্রথমে পা রাখেন এ বি এম সিদ্দিকুল আবেদীন।
আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে একধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড়। যেখানে গতানুগতিক ম্যারাথন দৌড়ের দূরত্ব ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড় আয়োজন করা হয়ে থাকে। সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার।
ম্যারাথনের কমিউনিটি পার্টনার ছিল দেশের অন্যতম পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ এবং সাইক্লিং গ্রুপ ‘হেমন্ত রাইডার্স’। চ্যারিটি পার্টনার হিসেবে ছিল পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলার চাম্পাঝিরিপাড়ার ‘পাওমাং শিশুসদন’ এবং মানবিক মানুষের সংগঠন ‘হাফ ম্যাড হিউম্যান’। সার্বিক সহযোগিতা দেয় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, আরটিএমআই ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০০ ক ল ম ট র আলট র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।