বাটলারের দরজা সাবিনাদের জন্য খোলাই আছে
Published: 23rd, February 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে আগামীকাল দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এর আগে আজ বাফুফেতে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রস্তুতির পাশাপাশি নারী ফুটবলের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেন কোচ পিটার বাটলার।
যেখানে জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের প্রশংসা করে তাঁকেই দীর্ঘ সময়ের জন্য নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখার ইচ্ছার কথা বলেন এই ইংলিশ কোচ।
সর্বশেষ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সাবিনা খাতুন। তাঁর নেতৃত্বে টানা দুবার নারী সাফ জেতে বাংলাদেশ। কিন্তু বাটলারের সঙ্গে বিদ্রোহের ঘোষণা দেওয়া ১৮ ফুটবলারের নেতৃত্বে ছিলেন সাবিনা। বিদ্রোহী সেই ১৮ জনের কাউকেই আরব আমিরাত সফরের দলে রাখেননি বাটলার। বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন আফঈদা। তাঁকে নিয়ে বাটলার বলেন, ‘এটা পুরোপুরি নতুন একটা দল। আমরা নতুন একজন অধিনায়ক (আফঈদা) পেয়েছি৷ আমি মনে করি, সে দীর্ঘ সময়ের জন্য অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা রাখে এবং বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সব ধরনের গুণ তার আছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়