নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শেষ হলো হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল
Published: 23rd, February 2025 GMT
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার খাগড়াছড়ি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিভিত্তিক আয়োজন ‘হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল ২০২৫’। স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তিজ্ঞান বিকাশ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারের লক্ষ্যে এ কার্নিভ্যালের আয়োজন করে এডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউট।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যাল কর্তৃপক্ষ।
হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালে ভাষাশহীদদের সম্মানে এডুলাইফ কোডিং স্টার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আহনাফ রহমান সরাসরি কোডিংয়ের মাধ্যমে শহীদ মিনার প্রদর্শন করে, যা উপস্থিত প্রোগ্রামার ও দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেয়।
আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও এডুলাইফ আইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো.
দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্যানেল আলোচনায় তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং, উদ্যোক্তাদের মান উন্নয়ন ও ক্যারিয়ার গঠনে দিকনির্দেশনা দেন জায়ান্ট মার্কেটার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ ভূঁইয়া, লার্ন উইথ সুমিতের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমিত সাহা, লার্ন উইথ রাব্বিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাব্বিল হাসান, ব্যাকস্পেস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল রহমান, স্কিলআপারের প্রধান প্রশিক্ষক শামিম হোসেনসহ অনেকে।
হিলট্র্যাক্টস আইটি কার্নিভ্যালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও রামগড় সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো.শহীদুল ইসলাম, মনজিলা সুলতানা প্রমুখ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও: পরিবেশ উপদেষ্টা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কারও দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠেছিল। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস লাগবে, এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই।
সোমবার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ি এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্পর্কে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বরাদ্দ ৫০০ কোটি বেশি নাকি কম, কাজ শুরু হলে আরও পাওয়া যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। চলনবিল অধ্যুষিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
এর আগে ঢাকা থেকে সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছান পরিবেশ উপদেষ্টা। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর আশপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রস্তাবিত জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন। বৃক্ষরোপণ শেষে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।