আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং সরবরাহ চলমান রাখতে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুরানবাজারে চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে এ সভা হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, “বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দোকানপাটে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলোকসজ্জ্বা করা যাবে না। ইউরিয়াযুক্ত মুড়ি বেচাকেনা বন্ধ রাখতে হবে। পুরানবাজারের ১৭টি চালকলসহ কারখানাগুলো যেন নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ ও চালু রাখে সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হবে। এতে তারাবির নামাজের সময় মসজিদগুলোতে মুসুল্লিদের নামাজের সময় লোডশেডিং এড়ানো সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “বাজার স্মিতিশীল রাখতে সাপ্লাই চেইনটা ঠিক রাখতে হবে। এতে করে গরিব অসহায়রা সবাই রমজানে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ে স্বস্তি পাবেন। বাজার ঠিক রাখতে আমি সবার সহায়তা চাই।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, “দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঢুকার রাস্তাসহ গতিবিধি লক্ষ্য রাখার মতো ভালোমানের সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। আর সেই সিসি ক্যামেরার ভিডিও অন্তত ১ মাস রাখার মতো স্টোরেজ ব্যবহার করতে হবে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দোকানগুলোতে রাখুন। ব্যাংক বা এজেন্টে লেনদেন করার সময় একা না গিয়ে বিশ্বাসযোগ্য ২/৩ জন একসাথে যান। মুনাফা লাভের জন্য পণ্য সংকট সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট খবর পেলেও ব্যবস্থা নেব।”

চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক তমাল কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মাইনুল ইসলাম কিশোর, লিয়াকত হোসেন পাটোয়ারী, হযরত আলী, নাজমূল আলম পাটোয়রীসহ অন্যরা।

সভায় ব্যবসায়ীক বিভিন্ন সেক্টরের নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরেন এবং রমজানে পণ্য সংকট সৃষ্টি করবেন না ও সীমিত লাভে পণ্য বিক্রির অঙ্গীকার করেন।

ঢাকা/অমরেশ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় পরিবারকে জিম্মি করে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার একটি বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা।

রবিবার (২ নভেম্বর) মধ্যরাত ৩টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি দক্ষিণপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে গৃহবধূকে বেঁধে ডাকাতি

বগুড়ায় বৃদ্ধাকে খুন করে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ৪, টাকা উদ্ধার

ভুক্তভোগী সাথী বেগম বলেন, “রাত ১টার দিকে একটি শব্দ পেয়ে আমার ঘুম ভাঙে। সে সময় বিষয়টি সেভাবে আমলে নেইনি। রাত ৩টার দিকে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তে বসলে জানালার গ্রিল কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুই যুবক। তারা প্রথমে আমাকে, পরে আমার ছেলে সাবিদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে তারা আমাদের বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্ল্যাটের প্রত্যেকটিতে একের পর এক লুট করতে থাকে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই ডাকাতি।” 

তিনি বলেন, “ডাকতরা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৯টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা আমাদের সবাইকে একটি রুমে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয়ে যায়।”

প্রত্যক্ষদর্শী সাবিদ বলেন, “জানালার গ্রিল কেটে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে দুইজন। পরে ডাকাত দলের আরো ২২-২৩ জন সদস্য বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। বাইরে আরো কয়েকজন পাহারায় ছিল। ডাকাত দলের অধিকাংশ সদস্যের মুখে মাস্ক ও গামছা ছিল। তারা অস্ত্রের মুখে আমাকে জিম্মি করে আমাকে দিয়েই অন্যান্য ফ্ল্যাটের দরজা খোলান। আমার চোখের সামনে একের পর এক রুমে ডাকাতি হয়।”

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ফজলুল হক বলেন, “আমার তিন ছেলে দেশের বাহিরে থাকে। তাদের পাঠানো প্রায় ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকদিন আগে ব্যাংক থেকে তোলা নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৯টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। তারা আমাদের পরিবার সম্পর্কে অনেক কিছু জানত। কোন রুমে কী আছে, আমরা কবে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছি এমনকি বাসায় ওয়াইফাই বন্ধ সবই জানত। আমার ধারণা, স্থানীয় লোক এর সঙ্গে জড়িত। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।”

ভুক্তভোগীর প্রতিবেশী লাক মিয়া বলেন, “আমরা ভোর ৫টার দিকে বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে লক করা রুম খুলে আমরা আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করি। তারপর বিষয়টি জানাজানি হয়।”

রবিবার (৩ নভেম্বর) গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “সকাল ৬টার দিকে দিকে আমি ৯৯৯ থেকে একটি কল পেয়ে এ বিষয়ে জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ