চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস
Published: 24th, February 2025 GMT
চীন সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। এ বৃত্তির নাম চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ (সিএসসি)। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে তিন বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ও চার বছর মেয়াদি পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য মিলবে এ বৃত্তি।
বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা চীনের চংকিং ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত চংকিং ইউনিভার্সিটি। এটি বর্তমানে চীনের অন্যতম একটি বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।
আরও পড়ুনচীনে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপের সঙ্গে আছে পড়ার শেষে চাকরি ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগ২৬ আগস্ট ২০২৪স্নাতকোত্তরে আবেদনের বিষয়গুলো হলো
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
অ্যাকাউন্টিং
ডিজিটাল ইকোনমি
ট্রান্সলেশন অ্যান্ড ইন্টারপ্রেটিং
লজিস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি
আইন
কন্ট্রোল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ইনস্ট্রুমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
মেকানিকস
ড্রামা অ্যান্ড ফিল্ম
ডিজাইন।
পিএইচডিতে আবেদনের বিষয়গুলো হলো
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা
রেজিস্ট্রেশন ফ্রি প্রদান করবে
কোনো টিউশন ফি লাগবে না
ক্যাম্পাসে বিনা মূল্যে থাকার ব্যবস্থা আছে
চিকিৎসাবিমা সুবিধা দেবে
মাস্টার্সে প্রতি মাসে ৩,০০০ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৯,৬০০ টাকা)
পিএইচডিতে প্রতি মাসে ৩,৫০০ ইউয়ান (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৭,৮৭৮ টাকা)।
আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে প্রস্তুতি কেমন, জেনে নিন ধাপগুলো১৪ এপ্রিল ২০২৪আবেদনের যোগ্যতা
চীন ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন
আবেদনকালে ৩৫ বছরের কম বয়সী স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে (মাস্টার্সের ক্ষেত্রে)
আবেদনকালে ৪০ বছরের কম বয়সী স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে (পিএইচডির ক্ষেত্রে)
অন্য কোনো বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন না
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
চীনা সরকারি বৃত্তির আবেদন ফরম
পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত (সিভি)
একটি অধ্যয়ন পরিকল্পনা বা গবেষণা প্রস্তাব
দুটি সুপারিশপত্র
পাসপোর্টের একটি অনুলিপি
আরও পড়ুনরোমানিয়ায় বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদনের পদ্ধতি জেনে নিন১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনের বিস্তারিত ও আবেদনের পদ্ধতি জানতে এখানে ক্লিক করুন
আবেদনের শেষ দিন
৩০ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প এইচড
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
আর মাত্র ২ মাসের কম সময় বাকি দুর্গোৎসবের। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি। এই উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। যদিও তা করা হয় ভারতের অনুরোধে। আর এবারও সেই অনুরোধের ব্যতিক্রম হলো না।
গত বছর পূজা মৌসুমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপের ফলে, ভারত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়।”
আরো পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
এরপরই লেখা হয়েছে, “দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায়, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।”
তবে প্রতিবছর অনুমোদিত ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রপ্তানি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর (২০২৩) ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছি।”
এই সমস্যার কারণ হিসেবে রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে দায়ী করা হয়েছে। ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই। কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, যে দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।”
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ