নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, পাকিস্তানে নিহত ৭
Published: 24th, February 2025 GMT
পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী জেলা ডেরা ইসমাইল খানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুটি পৃথক অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের জিও টিভির।
পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ এলাকা দারাবনে খোয়ারিজের উপস্থিতির তথ্য পেয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনার সময় নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়। এই অভিযানে চারজন খোয়ারিজ নিহত হন।”
এছাড়া “সাধারণ এলাকা মাদ্দিকে আরেকটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় উভয় পক্ষের গুলি বিনিময় হয়। নিজস্ব সৈন্যরা কার্যকরভাবে তিনজন খোয়ারিজকে হত্যা করেছে।”
আরো পড়ুন:
কোহলির সেঞ্চুরির রঙে রঙিন ভারতের ক্যানভাস
দিল্লিতে মুসলিমশূন্য মন্ত্রিসভা গড়ল বিজেপি
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “খোয়ারিজের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা ওই এলাকায় অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।”
আইএসপিআর অনুসারে, ‘পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর’ বলে এলাকায় অন্য কোনো সন্ত্রাসী পাওয়া গেলে তাকে নির্মূল করার জন্য স্যানিটাইজেশন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ডেরা ইসমাইল খানে সফল অভিযানের প্রশংসা করেছেন। তিনি সাতজন সন্ত্রাসীকে নির্মূল করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “মানবতার এই শত্রুদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা চূর্ণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।