Prothomalo:
2025-05-01@05:46:47 GMT

১২ মহাসড়ক ও সেতুর নাম পরিবর্তন

Published: 24th, February 2025 GMT

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন ১২টি মহাসড়ক ও সেতুর নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এগুলোর মধ্যে ৪টি মহাসড়ক, ৮টি সেতু।

নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

মহাসড়ক

মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে’-এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম ‘ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’।

সিলেট সড়ক বিভাগের ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক’-এর নাম বদল করা হয়েছে। নতুন নাম ‘সিলেট জেলার বিমানবন্দর বাইপাস ইন্টারসেকশন-লালবাগ-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ জাতীয় মহাসড়ক’।

মাদারীপুর সড়ক বিভাগের ‘শেখ হাসিনা মহাসড়ক’-এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম ‘কাজীরটেক ব্রিজ-শরীয়তপুর মহাসড়ক’।

চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের ‘শেখ হাসিনা সরণি’-এর নাম বদল করা হয়েছে। নতুন নাম ‘বড়তাকিয়া (আবুতোরাব)-মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়ক’।

সেতু

রংপুরের করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত ‘ওয়াজেদ মিয়া সেতু’-এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম ‘কাঁচদহ সেতু’।

পটুয়াখালীর আন্দারমানিক নদীর ওপর নির্মিত ‘শেখ কামাল সেতু’-এর নাম বদল করা হয়েছে। নতুন নাম ‘আন্দারমানিক সেতু’।

পটুয়াখালীর সোনাতলা নদীর ওপর নির্মিত ‘শেখ জামাল সেতু’-এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম ‘সোনাতলা সেতু’।

পটুয়াখালীর খাপড়াভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত ‘শেখ রাসেল সেতু’-এর নাম বদল করা হয়েছে। নতুন নাম ‘খাপড়াভাঙ্গা সেতু’।

পিরোজপুরের বলেশ্বর নদের ওপর নির্মিত ‘শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি সেতু’-এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম ‘ইন্দুরকানি সেতু’।

পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নির্মিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু’-এর নাম বদল করা হয়েছে। নতুন নাম ‘বেকুটিয়া সেতু’।

বরিশালের ‘শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু’-এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম ‘দপদপিয়া সেতু’।

নারায়ণগঞ্জের ‘সুলতানা কামাল সেতু’-এর নাম বদলে ‘ডেমরা সেতু’ করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক ব ভ গ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ