চলন্ত অবস্থায় দুইটি বগি রেখে রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। দশ কিলোমিটার দূরে হরিয়ান স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে পেছনের দুইটি বগি মূল ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে ওই বগিগুলোতে কোনো যাত্রী ছিল না।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সাগরদাঁড়ি চলে যাওয়ার পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিতুমীর এক্সপ্রেস রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে। এরপর হরিয়ান স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ায়। পরে তিতুমীর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন নিয়ে গিয়ে আবার সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসের বগি দুইটি আনা হয় হরিয়ান স্টেশনে। ততক্ষণ হরিয়ান স্টেশনে তিতুমীর এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী বগিগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল ৮টায় তিতুমীর এক্সপ্রেস হরিয়ান স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশে যাত্রা করে।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের অবরোধ প্রত্যাহার
সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু

ট্রেন চালকের দক্ষতায় প্রাণে বাঁচলেন ইজিবাইকের ৫ যাত্রী

হরিয়ান স্টেশনের মাস্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, “বগিগুলো এমটি (খালি) ছিল। তাতে কোনো যাত্রী ছিল না। বগি দুইটি রেখেই সাগরদাঁড়ি ট্রেন খুলনার উদ্দেশে চলে যায়। এতে তিতুমীরের সময় খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গরদ

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ