চাঁদপুরে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
Published: 25th, February 2025 GMT
চাঁদপুরে ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর লাশ ফ্লোরে ও স্বামীর লাশ রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড পালপাড়া শাহজাহান পাটোয়ারীর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জিন্নাত আলীর ছেলে সবুজ আহমেদ (৪০) ও তার স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩৫)। তারা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ৫-৬ মাস ধরে ভাড়া থাকতেন। স্ত্রী একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
ভবনের মালিক শাহজাহান পাটোয়ারী বলেন, সবুজ ও শিউলী ৫-৬ মাস ধরে আমার ভবনে ভাড়া থাকতেন। দুপুরে শিউলীর মা দরজা খোলা না পেয়ে আমাদের জানান। পরে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া জানান, আমাদের কাছে প্রথমে ৯৯৯-এ কল আসে। পরে থানার এসআই শফিকুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে স্বামী-স্ত্রীর লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কারণে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সবুজের স্ত্রী শিউলীর গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়