মেলায় প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক বিনয় দত্ত’এর গল্পগ্রন্থ ‘দাসের বলি তাসের দেশে’। প্রকাশক পাঞ্জেরী। প্রচ্ছদ করেছেন মানব। বইটির মুদ্রিত মূল্য ২০০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণের পাঞ্জেরীর প্যাভিলিয়ন ২৯-এ।

বইটিতে ক্ষুরধার অণুগল্প স্থান পেয়েছে। গল্পগুলো ঠিক গল্প নয়, যাপিত জীবনের প্রতিদিনকার দৃশ্যপট যেন। একেক দৃশ্যপটে একেক ধরনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। গল্পগুলো মূলত জীবন ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা, বক্তব্য, সাক্ষাৎকার ও বাস্তব ঘটনার নিরীক্ষে রচনা করা। গল্পগুলোর সময়, কাল, কুশীলব, ঘটনা বেশিরভাগই বাস্তব, কিছুটা কল্পনামিশ্রিত। তবে বুদ্ধিমান পাঠক অনায়াসেই ধরতে পারবেন কতটা কল্পনা আর কতটা বাস্তব।

সত্য ঘটনার মিশেলে এই গল্পগুলো পাঠককে জর্জরিত করবে প্রশ্নবাণে। দাঁড় করাবে ভয়াবহ বাস্তবতার সামনে। এই যন্ত্রণা উপভোগ করতে না চাইলে বইটা এড়িয়ে যাওয়াই মঙ্গল। তবে যারা নতুন স্বাদের গল্প পড়তে চান তাদের সুস্বাগতম ‘দাসের বলি তাসের দেশে’ গল্পগ্রন্থে।

বইটি সম্পর্কে বিনয় দত্ত বলেন, ``গল্পগুলো বেশ নিরীক্ষাধর্মী। সেটা যেমন নামের ক্ষেত্রে, তেমনি গল্পের বর্ণনায়। প্রতিটি গল্প বিশদ থেকে বিশদতর করা যেত কিন্তু আমি অণুগল্পের শক্তিতে প্রভাবিত হয়ে নিজের অবস্থান শক্ত রেখেছি। পাঠক গল্পগুলো পড়লে নিজেদের অবস্থান যেমন জানবেন, তেমনি বুঝবেন রাষ্ট্রের দায়দায়িত্ব। সর্বোপরি নিরেট গল্প পাঠের আমন্ত্রণ সবাইকে। যা শুধুই গল্প।‘’

‘দাসের বলি তাসের দেশে’ এটি লেখকের অষ্টম বই। 

বিনয় দত্ত’র অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে ‘আবুল মনসুর আহমদ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা পুরস্কার ২০২০’।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ স র বল

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ