ধামইরহাটে পিকনিক বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
Published: 26th, February 2025 GMT
নওগাঁর ধামইরহাটে পিকনিকের বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কামাল হোসেন নামে এক ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের বিহারীনগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পিকনিকের দুই বাসের একটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে বাস চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাইসুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা পরিষদ মার্কেটের ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী কামাল হোসেন মোটরসাইকেলে করে নওগাঁ যাচ্ছিলেন। পথে নওগাঁর ধামইরহাট-পত্নীতলা সড়কের বিহারীনগর মোড়ে জয়পুরহাটগামী পিকনিকের বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের মৃত্যু হয়।
নিহত কামাল হোসেন ধামইরহাট উপজেলার উত্তর চকযদু গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াদ আলীর ছেলে। তার স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে।
এর আগেও বিহারীনগরের এই মোড়টিতে একাধিকবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে অনেকের। এলাকাবাসী এই মোড়ে একটি গতিরোধকের দাবি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
ধামইরহাট থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন।
সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।