হবিগঞ্জে বাস উল্টে খাদে, আহত অনেক
Published: 26th, February 2025 GMT
হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস সড়কের পাশের খাদে পড়ে গেছে। এতে বাসটিতে থাকা অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে লাখাই উপজেলার রাঢ়িশাল করাব উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি জানান লাখাই থানার ওসি মো. বন্দে আলী।
আহতদের মধ্যে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিপপাশা গ্রামের আমীর আলীর পুত্র মনির হোসেন (২৩), সুমা আক্তার (৪০) ও রসুলপুরের মরুয়ারার (৪৫) নাম জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
ইবির বাস উল্টে আহত ২৫ শিক্ষার্থী
চকরিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
আহত যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার উদ্দেশ্যে গতকাল রাত ২টার দিকে ছেড়ে আসে লাকী এক্সপ্রেস নামে একটি বাস। বাসটি বুধবার ভোরের দিকে হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের রাঢ়িশাল করাব উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছায়। এসময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে বাসে থাকা যাত্রীরা কম-বেশি আহত হন। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান।
লাখাই থানার ওসি মো.
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন আহত
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।