চলন্ত বাসে নারী আইনজীবীর গলার চেইন ছিনতাই
Published: 26th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে এক নারী আইনজীবীর গলার চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডের ফলমন্ডির সামনে ৬ নম্বর রুটের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী আইনজীবী শেফায়েতুন নেছা প্রথম আলোকে বলেন, নগরের পতেঙ্গা কাঠগড়ের বাসা থেকে চট্টগ্রাম আদালতে আসার জন্য টাইগারপাস মোড়ে নামেন মেট্রো প্রভাতি বাস থেকে। সেখান থেকে ৬ নম্বর রুটের বাসে করে আদালত ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। চালকের পেছনের আসনে বসেন তিনি। বাসটি স্টেশন রোডের ফলমন্ডি এলাকায় পৌঁছালে সেখান থেকে ছয় থেকে সাতজন লোক ওঠেন। তাঁরা চালকের আসনের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরই মধ্যে একজন আইনজীবীর গলায় থাকা সোনার চেইন টান মেরে বাস থেকে নেমে দৌড় দেন। চিৎকার করে ছিনতাইকারীদের ধরতে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু আগ থেকে ওঠা ছিনতাইকারীর বাকি সহযোগীরা তাঁকে নামতে দেননি। একপর্যায়ে সবাই বাস থেকে নেমে যান। চালক ওই জায়গায় বাস ধীরে চালাচ্ছিলেন যাতে ছিনতাইকারীরা বাস থেকে নেমে যেতে পারেন।
আইনজীবী আরও বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ নগরের কোতোয়ালি মোড় থেকে চালক ও সহকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাসে অন্য যাত্রী ছিলেন কি না প্রশ্নের উত্তরে আইনজীবী শেফায়েতুন নেছা বলেন, আরও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন, তবে কেউ প্রতিবাদ করেননি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চালক ও তাঁর সহকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরের ডবলমুরিং থানার বারিক বিল্ডিং এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন থানার দুই এসআই। তাঁরা হলেন মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।
প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।
যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।
এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।
পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।
অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।
একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।