Risingbd:
2025-07-31@07:22:08 GMT

হিলিতে বোতলজাত সয়াবিন উধাও

Published: 28th, February 2025 GMT

হিলিতে বোতলজাত সয়াবিন উধাও

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই দিনাজপুরের হিলি বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল। পরিস্থিতি এমন যে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানেও মিলছে না বোতলজাত তেল। ক্রেতারা বলছেন, খোলা তেলের দাম বেশি এবং ভেজাল হওয়াটা স্বাভাবিক।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি বোতলজাত তেল না দেওয়ায় খোলা তেল বাধ্য হয়ে বিক্রি করছেন তারা।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে হিলির বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। তবে, ছোট-বড় ড্রামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খোলা সয়াবিন তেল। এসব খোলা তেল পলিথিনের মাধ্যমে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ৭৬ টাকা। এক লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা। বোতলজাত তেল না পেয়ে খোলা তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। 

আরো পড়ুন:

রমজানে স্বাভাবিক থাকবে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দাম 

‘টমেটো এখন পাখিদের খাদ্য’

ড্রাম থেকে তুলে ক্রেতার কাছে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন দোকানদার  

হিলি মসলা বাজারে দুলাল হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, “গোটা বাজার ঘুরলাম, কোনো দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পেলাম না। বাধ্য হয়ে খোলা তেল কিনলাম। রমজান মাস আসছে, খাঁটি ভোজ্য তেলের দরকার। সব দোকানে খোলা তেল।”

মিজানুর রহমান নামের অপর ক্রেতা বলেন, “বেশি লাভের আশায় দোকানদারেরা বোতলের তেল ঢেলে খোলা হিসাবে বিক্রি করছেন। আমার মনে হয়, এসব তেলে ভেজাল মেশানো হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত, এখন থেকে বাজার মনিটরিং শুরু করা। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

হিলি বাজারে মুদি ব্যবসায়ী অলক কুমার বলেন, “কোম্পানি থেকে আমাদের বোতল তেল দেওয়া হচ্ছে না। তারা খোলা তেল দিচ্ছে। আমরা ৭৬ টাকা লিটার হিসেবে খোলা তেল বিক্রি করছি। বোতলে তেল ৭৩ থেকে ৭৫ টাকা লিটার বিক্রি করেছি।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব তলজ ত ত ল ব যবস য় করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ