নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আনসার সদস্য আহত
Published: 1st, March 2025 GMT
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে স্থলমাইন বিস্ফোরণে একজন আনসার ভিডিপি আহত হয়েছেন। তাঁর হাঁটুর নিচে বাঁ পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাঁকে স্থানীয় লোকজন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা উদ্ধার করেছেন। চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ২৪ জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত মাইন বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। তবে আহতের ঘটনাগুলো সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ থেকে ৩০০ মিটার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘটছে বলে পুলিশের তথ্যে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদাপাড়া এলাকায় শূন্যরেখার ওপারে অ্যান্টিপারসোনাল মাইনের বিস্ফোরণ ঘটে। সীমান্তের ৪২ ও ৪৩ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি মিয়ানমারের ভূখণ্ডের প্রায় ৩০০ মিটার ভেতরে বিস্ফোরণটি হয়েছে। বিস্ফোরণে হামিদাপাড়ার আনসার ভিডিপির সদস্য মোহাম্মদ নবী হোসেন (৪৮) আহত হয়েছেন। তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশে বারুদের আগুনে ও স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
চাকধালা হামিদাপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানিয়েছেন, পাড়াবাসী লোকজন বিস্ফোরণের শব্দ শোনে খোঁজখবর নিয়ে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।