নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
Published: 2nd, March 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (৩২) মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে বিজিবি’র কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে তারা।
কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ নং পিলারের সামনে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশিকে গুলি করে নিয়ে যায় বিএসএফ, হাসপাতালে মৃত্যু
আরো পড়ুন:
যুবককে নির্যাতন, মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ
বাহিনীর কারো গাফিলতি পেলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে ৪৯ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার অজিত কুমার নেতৃত্ব দেন।
এর আগে, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে আল আমিনকে গুলি করে বিএসএফ সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ভারতের অভ্যন্তরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ৯টার দিকে আল আমিন মারা যান।
নিহতের স্বজনরা জানান, আল আমিন পেশায় কৃষক ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার একটি গরু সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। গরুটিকে আনতে আল আমিন সীমান্ত অতিক্রম করতে গেলে বিএসএফ তাকে গুলি করে।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউর রহমান জানান, বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ