বিভিন্ন বড় বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এখন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে কাজ করছে। সেই দৌড়ে যোগ দিয়েছে অ্যামাজন। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য নতুন একটি চিপ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে অ্যামাজন। নতুন চিপের নাম রাখা হয়েছে ওসেলট। নতুন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপ ওসেলটের প্রোটোটাইপ প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন চিপের মাধ্যমে গুগল ও মাইক্রোসফটের সঙ্গে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মাঠে নামল অ্যামাজন।

অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের কোয়ান্টাম হার্ডওয়্যারের পরিচালক অস্কার পেইন্টার বলেন, ‘ওসেলট আলাদা ধরনের চিপ। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সঙ্গে আমরা যেসব মৌলিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই, সেসব সংবেদনশীল ত্রুটি দ্রুত কাটাতে পারে এই চিপ।’

নতুন চিপ নিয়ে নেচারে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। অ্যামাজনের ভাষ্যে, কোয়ান্টাম চিপ ওসেলট ত্রুটি সংশোধন ও স্কেলেবিলিটি খাতে একটি বড় অগ্রগতি বলা যায়। এই দুটি মূল বিষয়ের কারণে দীর্ঘকাল ধরে কোয়ান্টাম কম্পিউটার ক্ষেত্রে অগ্রগতি বেশ ধীর বলা যায়। ওসেলট প্রোটোটাইপটির প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় কোয়ান্টাম ত্রুটি সংশোধনের দক্ষতা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার এখন একটি ক্রমবর্ধমান ক্ষেত্র। এ ক্ষেত্রে কম্পিউটারবিজ্ঞান, গণিত ও কোয়ান্টাম মেকানিকস এক হচ্ছে। এখানে চিরায়ত কম্পিউটিংয়ে ব্যবহৃত বাইনারি বিটের পরিবর্তে কিউবিট নামক তথ্যের একক ব্যবহার করা হচ্ছে। কিউবিট বাইনারি বিটের চেয়ে বেশি তথ্য ধারণ করে এবং একই সঙ্গে একাধিক অবস্থায় থাকতে পারে।

অ্যামাজন জানিয়েছে, ওসেলট চিপ ক্যাট কিউবিটস নামে একধরনের কিউবিট প্রযুক্তি ব্যবহার করে। বিখ্যাত পদার্থবিদ শ্রোডিঞ্জারের ক্যাট থট এক্সপেরিমেন্টের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি অভ্যন্তরীণভাবে বেশ কিছু ত্রুটি সংশোধন করে একটি পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কোয়ান্টাম ত্রুটি সরলভাবে সংশোধন করতে পারে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অ য ম জন

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমি বেঁচে আছি’, বললেন কোরীয় অভিনেত্রী

হঠাৎ এক বন্ধুর ফোন। কাঁদতে কাঁদতে শিন এ–রার কাছে জানতে চাইলেন, ‘তুমি বেঁচে আছ?’ আকাশ থেকে পড়লেন। পরে জানলেন, ইউটিউবে তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে। এরপর একের পর এক ফোন পেতে থাকেন।

বাধ্য হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় শিন এ-রা লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি।’

নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে রীতিমতো বিপত্তিতে পড়েছেন এই দক্ষিণ কোরীয় অভিনেত্রী।

ভিডিও বার্তায় শিন বলেন, ‘আমি মারা যাইনি। আমার এক বন্ধু কাঁদতে কাঁদতে ফোন করে জানতে চায়, আমি কি সত্যিই মারা গেছি। কীভাবে মানুষ এতটা ভিত্তিহীন খবর ছড়াতে পারে?’

আরও পড়ুনবাসে ওঠার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন দক্ষিণি নির্মাতা০২ জুন ২০২৫

শুধু শিন নয়, কোরিয়ায় আরও কয়েকজন তারকার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিন লিখেছেন, ‘এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়। ইউটিউবে দেখলেই বোঝা যাবে—অনেক তারকাকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে। এমন কিছু দেখলে দয়া করে নামটা গুগলে সার্চ করুন। এসব বিশ্বাস করবেন না।’

শিনের পোস্টে অভিনেত্রী ইউন ইউ-সান মন্তব্য করেছেন, ‘সত্যি! আমাকেও কয়েকজন একই প্রশ্ন করেছে। এখন তো মিথ্যা খবরের ছড়াছড়ি—আমাদের সত্য-মিথ্যা চিনতে শিখতে হবে।’

শিনের এ ঘটনায় অনেক ভক্তই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে স্বস্তি লাগছে।’ কেউ আবার বলেছেন, ‘এভাবে গুজব ছড়ানো অপরাধ হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ