স্থানীয় সরকার কাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক ঐক্য শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণের বুনিয়াদি ক্ষেত্র। ক্ষেত্রটিকে একদিকে রাজনৈতিক শক্তিগুলো ক্ষমতা সুসংহত করার লক্ষ্য সামনে রেখে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ব্যবহার করেছে; অন্যদিকে ব্যুরোক্রেসি এটাকে তাদের অধীনে রেখে ক্ষমতা প্রয়োগ-প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে রাখে। এখানে রাজনৈতিক শক্তি ও বুরোক্রেসির একটি যৌথ আক্রমণ নিষ্পেষণ রয়েছে। আমলারা নিজেদের সরকারের মূল কারিগর মনে করে। তাদের এই ধারণা ব্রিটিশ সরকারই কয়েকশ বছর ধরে সৃষ্টি করে দিয়ে গেছে। 


ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর রাজনৈতিক দল ও শক্তি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্র হিসেবে স্থানীয় সরকার কাঠামোকে বেছে নেয় ব্রিটিশ শাসনের মতোই। গণতান্ত্রিক স্বয়ংসম্পূর্ণ সমাজ কাঠামোকে পুনরায় জাগরিত করে তাতে রাষ্ট্র কাঠামো যুক্ত করার কাজটি কোনো শাসকই আর করেনি। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সরকারের জেনারেল আইয়ুব খান ‘বেসিক ডেমোক্রেসি অর্ডার’ আইনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের ভোটাধিকার প্রাপ্তির ক্ষমতা দিয়ে তাদের সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত করে। বাংলাদেশ গঠনের পর সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রদান করার জন্য কার্যকর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক’। চমৎকার বাক্যটি সংবিধানে সেভাবেই রয়ে গেছে। বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তার উল্টোটি।


১৯৭৫ সালের পরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান গঠন করেন গ্রাম সরকার। সেখানে ব্রিটিশ চৌকিদার মডেলে গ্রাম পুলিশ গঠন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা তাদের মূল দায়িত্ব। তারা জাতীয়তাবাদী দল গঠনে আসল দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ থানাগুলোকে উপজেলায় উন্নীত করে গঠন করেন উপজেলা পরিষদ। সেখানে একজন উপজেলা চেয়ারম্যান, যিনি সরাসরি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন– এমন বিধান রাখা হয়। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের চমৎকার ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আদালত গঠন করা হয়। আসল কাজ যেটা হয় সেটা হচ্ছে, নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানরা জাতীয় পার্টি গঠনে বড় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকার এটি বাতিল করে দেয়। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে পুনরায় উপজেলা পরিষদ ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দেন। নখদন্তহীন উপজেলা পরিষদ আবদ্ধ থাকে এমপি, ইউএনও আর জেলা প্রশাসকের হাতে। এমপি আর ইউএনওদের হাতে সব ক্ষমতা দিয়ে নামমাত্র একজন উপজেলা চেয়ারম্যান করে একটি কার্যালয় প্রাপ্তি ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ ছিল না। এ শাসনে স্থানীয় সরকার কাঠামোতে নির্দলীয় চরিত্রটিও নিঃশেষ করে এটিকে দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় সরকার কাঠামোর স্বাধীন সত্তার কফিনে শেষ পেরেকটি শেখ হাসিনা ঠুকে দেন।


মূলত স্থানীয় সরকার কাঠামোর কয়েকটি ক্ষেত্র। একটি গ্রামকেন্দ্রিক ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ,  নগরকেন্দ্রিক পৌরসভা, শহরকেন্দ্রিক সিটি করপোরেশন। এসব ক্ষেত্রকে প্রাথমিক স্তরে নির্দলীয় চরিত্রে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এই স্তরগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, খাদ্য, নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, সুপেয় পানির সরবরাহ, পরিবেশ রক্ষা  এবং সাংস্কৃতিক মানোন্নয়ন, সামাজিক ঐকমত্য ও সমঝোতা  প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করার উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকারকে রাজস্ব সংগ্রহ এবং সংগৃহীত রাজস্বের বড় অংশ খরচ করার স্বাধীনতা দেওয়া প্রয়োজন। রাজস্ব আদায়ের স্বাধীনতা সিটি করপোরেশন এবং কিছু পৌরসভার থাকলেও অন্যান্য সেক্টরে নেই। 


রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ক্ষমতার ব্যবস্থা করাও জরুরি। এবং ক্ষেত্রবিশেষে কিছু বিষয়ে স্থানীয় সরকার কাঠামোর সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বাধ্য– এমন আইন সৃষ্টি করা। কিছু ক্ষেত্র সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে রেখে দেওয়া, যেসব বিষয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে স্থানীয় সরকারের এই কাঠামোগুলো পালন করতে বাধ্য হয়– এমন আইন প্রণয়ন করা। যাতে সরকার ও স্থানীয় সরকার কাঠামো একটি ক্ষমতার ভাগাভাগি করে কাজ করতে সক্ষম হয়। জাতীয় সংসদের সদস্য স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে মূল সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এভাবে যদি ক্ষমতার ক্ষেত্রগুলোকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি, প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যে ভাগাভাগি করে একটি টিম গঠন করা যায় তাহলে এর সুফল হয়তো আসতে পারে।


স্থানীয় সরকার নিয়ে আমরা যখন এই আলোচনা করছি তখন আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন– তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে চাইছে। রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে, আগস্ট গণআন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকা ছাত্রনেতৃত্ব যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং সেখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে সেই প্রতিনিধিদের নানা প্রলোভন, সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের দলটির ভিত্তি তারা দাঁড় করিয়ে ফেলবে। এই সন্দেহের যথেষ্ট যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে একাধিকবার রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা গেছে। 


আমরা চাইব আমাদের গণতান্ত্রিক, মূল্যবোধপূর্ণ, উদার, শান্তিবাদী সমাজ কাঠামোর যে আদি ঐতিহ্যের সংস্কৃতি, তার ভিত্তিতেই স্থানীয় সরকার কাঠামো গঠিত হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। 


রুস্তম আলী খোকন: লেখক ও সংগঠক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স থ ন য় সরক র স থ ন য় সরক র ক ঠ ম য় সরক র র ন উপজ ল ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

সন্তানদের টানে বিচ্ছেদ থেকে বন্ধন, আদালত চত্বরে আবার বিয়ে

তিন বছর আট মাস আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয় এক দম্পতির। পরে দুই কন্যাসন্তানের হেফাজত চেয়ে আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা করেন মা ও বাবা। শুনানির সময় বাবার সঙ্গে আদালতে সন্তানদের দেখা হতো। কিন্তু এতটুকু দেখাতে মন ভরত না সন্তানদের। সন্তানেরা মা-বাবাকে সব সময় একসঙ্গে কাছে পেতে চাইত। সাত বছর বয়সী বড় কন্যা প্রতিবার সাক্ষাতের সময় কান্নাকাটি করে মা-বাবাকে একসঙ্গে থাকার জন্য আকুতি জানাত।

পরে দুই কন্যার মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে  ব্যথা ও অভিমান ভুলে ওই দম্পতি আবার একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় তিন বছর মামলা চালানোর পর গত মার্চ মাসে আদালত চত্বরে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, শুধু কন্যাদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ওই দম্পতি আবার এক হয়েছেন। আপসের পর ধর্মীয় বিধান মেনে আদালত চত্বরে তাঁদের আবার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। তাঁরা সংসার শুরু করেছেন।

যেভাবে দ্বন্দ্ব, যেভাবে আপস

২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে এই দুজনের বিয়ে হয়। তাঁরা দুজনই উচ্চশিক্ষিত। দুজনই উচ্চপদে চাকরি করেন। বিয়ের পর নারীর বাবার বাড়িতে তাঁদের সংসার শুরু হয়। পরে রাজধানীতে একটি ভাড়া বাসা নিয়ে থাকা শুরু করেন। বিয়ের এক বছরের মাথায় তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।

নারীর ভাষ্য, বিয়ের পর তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। স্বামী যৌতুক চেয়েছিলেন। এ কারণে মেয়ের সুখের কথা ভেবে যৌতুক হিসেবে ছয় লাখ টাকা ব্যয় করে টিভি, ফ্রিজ, খাট ও আলমারি উপহার দেন তাঁর বাবা।

মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাঁর স্বামীর ভাড়া বাসায় ওঠার কয়েক মাস পর থেকে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ভাড়া বাসার পাশে তাঁর ননদের বাসা ছিল। শাশুড়ি কখনো তাঁদের সঙ্গে, আবার কখনো মেয়ের বাসায় থাকতেন। তুচ্ছ কারণে শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর প্রায় সময় মনোমালিন্য হতো। এ নিয়ে স্বামী তাঁকে কটু কথা বলতেন। একপর্যায়ে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন স্বামী। তবু সন্তানের কথা ভেবে অত্যাচার সহ্য করে সংসার করতে থাকেন তিনি।

মামলায় ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, একপর্যায়ে বাবার কাছ থেকে জমি লিখে নিতে স্বামী তাঁকে চাপ দিতে শুরু করেন। এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। একসময় তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিয়ের চার বছরের মাথায় তিনি স্বামীকে তালাক দিয়ে সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান।

তালাক কার্যকরের (তিন মাস) আগে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তালাকের নোটিশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করতে থাকেন। স্বামী ও তাঁদের স্বজনেরা ওই নারীর কাছে অঙ্গীকার করেন, আর কখনোই শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হবে না। স্বামীর অনুরোধ ও সন্তানের কথা ভেবে কার্যকর হওয়ার আগে ওই নারী তালাকের নোটিশ প্রত্যাহার করে নেন। আবার সংসার শুরু করেন।

আদালতের কাছে নারী দাবি করেন, আবার সংসার শুরুর পর থেকে কয়েক মাস তাঁর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। তবে দ্বিতীয় সন্তান গর্ভে আসার পর থেকে আবারও স্বামী নির্যাতন করা শুরু করেন। তিনি এতটাই উগ্র হয়ে ওঠেন যে নির্যাতন ঠেকাতে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এলে স্বামী তাঁদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আবারও স্বামীর বাসা ছেড়ে চলে যান বাবার বাসায়। ২০২১ সালের ৩০ আগস্ট তিনি আবার তাঁর স্বামীকে তালাকের নোটিশ দেন। তালাক কার্যকরও হয়। ছয় মাস পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। স্বামী কখনো দ্বিতীয় সন্তানকে দেখতে আসেননি।

তবে এই নারীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর সাবেক স্বামী। সাবেক স্বামীর অভিযোগ, তাঁর মায়ের সঙ্গে স্ত্রীর বনিবনা হতো না। এ কারণে স্ত্রী প্রায় সময় তাঁর মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। একদিন রাগ করে তাঁর স্ত্রী বড় মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর কন্যাদের দেখতে তিনি শ্বশুরবাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করেন। এ সময় তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর তাঁদের দুজনের মধ্যে আর কোনো সমঝোতা হয়নি। পরে দুই কন্যার হেফাজত চেয়ে সাবেক স্ত্রীকে বিবাদী করে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন সাবেক স্বামী। অন্যদিকে ওই নারীও সাবেক স্বামীকে বিবাদী করে একই ধারায় মামলা করেন।

আরও পড়ুনবিয়ের অনেক বছর পরও কেন বিচ্ছেদ হয়১০ জুলাই ২০২৪

বিবাদীপক্ষের আইনজীবী মলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, এই দম্পতির বড় সন্তানের বয়স প্রায় সাত বছর, আর ছোট সন্তানের বয়স চার বছর। পারিবারিক আদালতে মামলার শুনানি চলাকালে আদালতকক্ষে স্বামী-স্ত্রীর দেখা হতো। দুই কন্যা তখন মা–বাবা দুজনের সঙ্গেই কথা বলত। তারা কান্নাকাটি করত; সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে চাইত। একসময় স্বামী-স্ত্রী দুজনই সন্তানের মানসিক অবস্থার কথা চিন্তা করে আবার একসঙ্গে সংসার করার সিদ্ধান্ত নেন।

আইনজীবী মলয় কুমার সাহা বলেন, মা–বাবার বিচ্ছেদের পর সন্তানেরা মানসিক যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়। শিশুর মানসিক বিকাশে মা–বাবার আদর-ভালোবাসা বিরাট ভূমিকা রাখে। বিচ্ছেদের কারণে আদর-ভালোবাসার ঘাটতি সন্তানদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এ কারণে দুই কন্যার মানসিক সুস্থতার কথা ভেবে গত মার্চ মাসে আপস করে ওই দম্পতি আবার বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা সংসার শুরু করেছেন। তাঁদের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তাঁরা এখন সুখে আছেন।

আরও পড়ুনবিচ্ছেদের ৫০ বছর পর আবার একসঙ্গে দুজন ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪আরও পড়ুনডিভোর্সের পরও সন্তানের কথা ভেবে এক ছাদের নিচে থাকা কি ঠিক২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ