রাজশাহীতে রিকশাচালককে জুতাপেটা করা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
Published: 4th, March 2025 GMT
রিকশাচালককে জুতাপেটা করায় রাজশাহীর পবা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদ হাসানকে (রাসেল) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৫ (প্রশাসন ও শৃঙ্খলা) শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের কপি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘রিকশাচালককে নির্দয়ভাবে প্রহার করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ধরনের আচরণ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। সরকারি কর্মচারী হিসেবে তাঁর (জাহিদ হাসান) এ ধরনের আচরণ অশোভনীয়, অসংগত, চাকরি শৃঙ্খলাপরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’ জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, কোয়ার্টারের সামনে জাহিদ হাসান এক রিকশাচালককে পায়ের জুতা খুলে পেটাচ্ছেন। পরে প্রাইভেট কারের ব্যাকডালা থেকে লাঠি বের করে চালকের শরীরে ও রিকশায় আঘাত করতে থাকেন তিনি। এ ছাড়া গালাগাল করতেও দেখা যায় তাঁকে।
ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল সোমবার পর্যন্ত দুই দিন ছুটি নেন জাহিদ। রোববার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত বলে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘এমন ঘটনা কি আর কারও জীবনে ঘটেনি? আমি অন্যায় করেছি। কিন্তু এত বড় শাস্তি কি আমার পাওনা ছিল?’ ওই ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাও প্রার্থনা করেন এই সমাজসেবা কর্মকর্তা।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ওই ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে গত শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গত রোববার সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক সৈয়দ মোস্তাক হাসান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে জেনে গেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওপর থেকেই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি