হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় (টমটম) যাত্রী ওঠানো নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। মঙ্গলবার স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ওই দু’পক্ষ। উপজেলার সিংহগ্রামের মাইজহাটি ও দাইরল এলাকাবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ইফতারের আগে বুল্লা বাজারে টমটমে (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) যাত্রী ওঠানো নিয়ে দাইরল এলাকার চালক মিলন মিয়া এবং যাত্রী মাইজহাটির তৌহিদ তালুকদারের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে বাজারে থাকা উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
এর জের ধরে মঙ্গলবার দু’পক্ষ আবারও মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। থেমে থেমে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে লাখাই থানার ওসি বন্দে আলী জানান, উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ