সিআইডি প্রধানসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তার বদলি ও পদায়ন
Published: 4th, March 2025 GMT
পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) বিভাগের প্রধান মতিউর রহমান শেখসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মতিউর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল মাসুদুর রহমান ভূঞা এবং অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান খোন্দকার রফিকুল ইসলামকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে।
এই তিনজন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে চলতি দায়িত্বে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই বদলি ও পদায়ন করা হয়।
বদলি হওয়া অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিমকে পুলিশ সদর দপ্তরে, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি শোয়েব রিয়াজ আলমকে সারদা পুলিশ একাডেমিতে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি আশরাফুর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে, পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি আতাউল কিবরিয়াকে ময়মনসিংহ রেঞ্জে, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি মহা.
এদিকে যশোর জেলার এসপি জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ, সুনামগঞ্জের এসপি আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান, কক্সবাজারের এসপি মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এবং নীলফামারী জেলার এসপি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত র ড আইজ র রহম ন র এসপ
এছাড়াও পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।
গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।