পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে চারটি বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান এ নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসনা গ্রামের আব্দুর রহমান কাজির বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে আগুন আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পরে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরো পড়ুন:

গোপালগ‌ঞ্জের সড়কে ঝরল অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের প্রাণ

ঈদের ছুটিতে দেশে এসে সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ

এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জিয়ারুল কাজি। আগুনে পুড়ে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩৫) মারা গেছে। এছাড়া তার পরিবারের ১২টি ছাগলও পুড়ে মারা গেছে। নিহত হাজেরা তিন সন্তানের জননী ছিলেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, এসব পরিবারের বাড়ির ছাউনি ও বেড়া টিনের হওয়ায় পুরো ঘরই পুড়ে গেছে। বাড়ির আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল কিছুই অবশিষ্ট নেই।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় হাজেরা বেগম তার শিশু সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আগুনের ধোঁয়া ও তাপে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রহমান কাজি, তার দুই ছেলে রকিব কাজি ও রতন কাজি, মাহবুর কাজি, জিয়ারুল কাজি ও মাহবুব রহমান।

ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মীর আমিরুল ইসলাম জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেইসঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন দ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ