পাবনায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল গৃহণবধূর
Published: 5th, March 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে চারটি বসতঘর পুড়ে গেছে। এতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আসনা গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান এ নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসনা গ্রামের আব্দুর রহমান কাজির বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে আগুন আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পরে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জের সড়কে ঝরল অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের প্রাণ
ঈদের ছুটিতে দেশে এসে সড়কে ঝরল ২ যুবকের প্রাণ
এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জিয়ারুল কাজি। আগুনে পুড়ে তার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩৫) মারা গেছে। এছাড়া তার পরিবারের ১২টি ছাগলও পুড়ে মারা গেছে। নিহত হাজেরা তিন সন্তানের জননী ছিলেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, এসব পরিবারের বাড়ির ছাউনি ও বেড়া টিনের হওয়ায় পুরো ঘরই পুড়ে গেছে। বাড়ির আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল কিছুই অবশিষ্ট নেই।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় হাজেরা বেগম তার শিশু সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আগুনের ধোঁয়া ও তাপে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রহমান কাজি, তার দুই ছেলে রকিব কাজি ও রতন কাজি, মাহবুর কাজি, জিয়ারুল কাজি ও মাহবুব রহমান।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মীর আমিরুল ইসলাম জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তদন্ত শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেইসঙ্গে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন দ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
১০ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি শেষে আজ রোববার সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
তবে পেট্রাপোল কাস্টমসে সার্ভার বিকল থাকায় পণ্য আমদানি হয়েছে কম এবং বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে বেশি।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী সমকালকে জানান, ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমস অফিসে সার্ভার বিকল থাকায় এক্সপোর্টের ডকুমেন্টের লিও হচ্ছে না। ফলে পণ্য রপ্তানির অনুমোদন করতে পারছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অনলাইন জটিলতা নিরাসন হলেই পূর্বের ন্যায় পণ্য রপ্তানি হবে।
বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, ‘টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে আজ সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। তবে পেট্রাপোল কাস্টমসে সার্ভার বিকল থাকায় পণ্য আমদানি হয়েছে কম ও রপ্তানি আগের মতো চলমান আছে। বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসে ধীরগতিতে কার্যক্রম চলছে। বন্দর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার আবু তাহের জানান, ১০ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে। পণ্য আমদানির জন্য ৪৫০ কনসাইনমেন্টের কার্পাস (গেট পাস) হয়েছে। তবে ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে সার্ভার বিকল থাকায় তারা পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ৭ ট্রাক এবং রপ্তানি হয়েছে ৫১ ট্রাক পণ্য। স্বাভাবিকভাবেই বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম চলছে।