পিয়ানো ও ডাবস্টেপের মিলে ১০০ ফোক গান নতুনভাবে কণ্ঠে ধারণ করেছেন ১০০ জন শিল্পী। ১৯ ফেব্রুয়ারি এফডিসিতে সেট তৈরি করা হয়। এই প্রজেক্টটির প্ল্যান ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডি জে রাহাত। মিউজিক প্রগ্রামিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন আদিব কবির ও শান সায়েক।

বিষয়টি নিয়ে আদিব বলেন, ‘আমরা ৩০ দিনে গানগুলো তৈরি করেছি। একদিকে মিউজিক প্রগ্রামিং হয়েছে, অন্যদিকে হয়েছে ভয়েজ টেক। শিল্পীরা আমাদের সহযোগিতা করেছেন বলেই এত সহজে এ রকম একটা বড় প্রজেক্ট করতে পেরেছি।’

ঈদের পর থেকেই প্রতি সপ্তাহে একটি বা দুটি করে গান প্রকাশিত হবে ডিজে রাহাত ও আদিব কবিরের ইউটিউব চ্যানেল থেকে। পাশাপাশি ই-পিয়ানো নামের ফেসবুক পেজ থেকে আপডেট জানানো হবে প্রতিদিন।

এফডিসিতে গানের গুটিং সেট। ছবি: সমকাল

আদিব বলেন, ‘আমাদের শিল্পী তালিকায় দেশের অধিকাংশ শিল্পীই আছেন। এর মধ্যে মিলন মাহমুদ, পারভেজ সাজ্জাদ, মুহিন খান, তানজিনা রুমা, লুৎফর হাসান, খেয়া, দোলা, লুইপা, সাথী খান আরো অনেকে।’

এরইমধ্যে পরের সিজন নিয়েও পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। আদিব বলেন, ‘আমরা এখন পরের সিজন নিয়ে পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, আরো ১০০ গান নিয়ে কাজ করব। বাংলাদেশে আসলে ফোক গানের অভাব নেই। এত সমৃদ্ধ যে চাইলে ১০০০ গানও করা সম্ভব। দেখি আমরা কতগুলো গান তুলে আনতে পারি নতুন করে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি

গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। 

প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।

হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”

আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ