১০০ শিল্পীর কণ্ঠে নতুনভাবে ১০০ ফোক গান
Published: 5th, March 2025 GMT
পিয়ানো ও ডাবস্টেপের মিলে ১০০ ফোক গান নতুনভাবে কণ্ঠে ধারণ করেছেন ১০০ জন শিল্পী। ১৯ ফেব্রুয়ারি এফডিসিতে সেট তৈরি করা হয়। এই প্রজেক্টটির প্ল্যান ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডি জে রাহাত। মিউজিক প্রগ্রামিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন আদিব কবির ও শান সায়েক।
বিষয়টি নিয়ে আদিব বলেন, ‘আমরা ৩০ দিনে গানগুলো তৈরি করেছি। একদিকে মিউজিক প্রগ্রামিং হয়েছে, অন্যদিকে হয়েছে ভয়েজ টেক। শিল্পীরা আমাদের সহযোগিতা করেছেন বলেই এত সহজে এ রকম একটা বড় প্রজেক্ট করতে পেরেছি।’
ঈদের পর থেকেই প্রতি সপ্তাহে একটি বা দুটি করে গান প্রকাশিত হবে ডিজে রাহাত ও আদিব কবিরের ইউটিউব চ্যানেল থেকে। পাশাপাশি ই-পিয়ানো নামের ফেসবুক পেজ থেকে আপডেট জানানো হবে প্রতিদিন।
এফডিসিতে গানের গুটিং সেট। ছবি: সমকাল
আদিব বলেন, ‘আমাদের শিল্পী তালিকায় দেশের অধিকাংশ শিল্পীই আছেন। এর মধ্যে মিলন মাহমুদ, পারভেজ সাজ্জাদ, মুহিন খান, তানজিনা রুমা, লুৎফর হাসান, খেয়া, দোলা, লুইপা, সাথী খান আরো অনেকে।’
এরইমধ্যে পরের সিজন নিয়েও পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে। আদিব বলেন, ‘আমরা এখন পরের সিজন নিয়ে পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, আরো ১০০ গান নিয়ে কাজ করব। বাংলাদেশে আসলে ফোক গানের অভাব নেই। এত সমৃদ্ধ যে চাইলে ১০০০ গানও করা সম্ভব। দেখি আমরা কতগুলো গান তুলে আনতে পারি নতুন করে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের ঈদযাত্রায় প্রাণহানি গত ঈদের চেয়ে বেশি: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির ১৫ দিনে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৩৭৯টি দুর্ঘটনায় ৩৯০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১৮২ জন আহত হয়েছেন।
গত ঈদের তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহত মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঈদুল ফিতরের ছুটির ১৫ দিনে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮৩৫ জন।
আজ সোমবার ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
লিখিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার বেশি ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদযাত্রায় সড়ক–মহাসড়কে ১৩৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত ও ১৪৮ জন আহত হয়েছেন। এটি মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩৫ শতাংশের বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এসব দুর্ঘটনায় হতাহত ৬১ জন চালক, ৫০ জন পরিবহনের শ্রমিক, ৫৮ জন পথচারী, ৪০ জন নারী, ৩০টি শিশু, ৩২ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ৫ জন শিক্ষক, ১ জন করে চিকিৎসক, প্রকৌশলী এবং ৮ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ২৮ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়।
সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহামারির মতো যাত্রীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সড়কে যাত্রীসুবিধা নিশ্চিত ও সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত লোকের সমন্বয়ে সঠিক ম্যানেজমেন্ট–ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক আরমানা সাবিয়া হক, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকা আফরোজ, মনজুর হোসেন, জি এম মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।