শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান হাসনাতের
Published: 5th, March 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিতভাবে সবাইকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ভুলে গেলে চলবে না, এই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন- তাদের রক্তের প্রতি; আমরা যারা জীবিত আছি তাদের দায়ভার আছে। তাই দেশকে ভালোবেসে যে স্বপ্ন নিয়ে তারা রাস্তায় এসেছিলেন; সেই স্বপ্নের দেশ গড়ার দায়িত্ব আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ আব্দুস সামাদের (৫২) জানাজায় এসব কথা বলেন তিনি।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের এই নেতা বলেন, যে যেই ব্যানারেরই হোক, যে রাজনৈতিক মতাদর্শেরই হোক, দিনশেষে আমরা দেবিদ্বারকে ভালবাসি। সামাদ ভাই দেবিদ্বারকে ধারণ করে রাস্তায় নেমেছিলেন। ফলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সামাদ ভাইয়ের সেই স্বপ্নের দেবিদ্বার গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
এ সময় শহীদ সামাদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া এবং জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ভাতা সহায়তার আশ্বাস দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
জানাজার পূর্বে আরও বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফএম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহিদ, দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসনাত খাঁন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আব্দুস সামাদ দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের ধামতী উত্তরপাড়া গ্রামের মো.
এদিকে জানাজা শেষে সামাদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এসময় তিনি আব্দুস সামাদের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম সাথে কথা বলেন পরিবারের খোঁজ খবর নেন। তিনি সামাদের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।