ফতুল্লার গাবতলীতে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের ডাক
Published: 5th, March 2025 GMT
ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায় সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে মাঠে নেমেছে সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ। আর এই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী উৎস। সম্প্রতি এই উৎস বাহিনী ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে।
মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী আর অপহরন করে মুক্তিপন দাবি করছে উৎস বাহিনী। গত দ’ুদিনে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাই গাবতলী এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষাভ বিরাজ করছে।
এদিকে এ বিষয়ে গাবতলীর এলাকার বাসিন্দা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, সম্প্রতি আমাদের প্রিয় গাবতলী এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ যে তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা হতাশ।
আমি বিশ^াস করি স্থানীয় থানা পুলিশ আন্তরিক ভাবে চেষ্ঠা করলে কোনো সন্ত্রাসী পার পাবে না। যতোদূর জেনেছি এই সন্ত্রাসীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জরিত নয়। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের নাম ভাঙ্গায়।
তাই আমি গাবতলীবাসীকে আহবান জানাবো আসুন আমরা সকলে মিলে এই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করি। আমরা গাবতলীবাসী একতাবদ্ধ আছি। কারো কোনো রকম ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই। আগামী দিনে আমরা অত্র এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাস্ত করবো না।
বরং আমরা বলতে চাই গাবতলী সোসাইটির বলিষ্ট নেতৃত্বে অত্র এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা যেকোনো মূল্যে এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবো ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি গত কয়েকটা দিন ধরে কিছুটা অসুস্থ। তবে শুনতে পাচ্ছি একটি মাদক চক্র নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই চক্রটি এতোদিন গাবতলীর বাহিরে ইসদাইর এলাকায় মাদক ব্যবসা এবং সন্ত্রাস চালিয়ে আসছিলো।
কিন্ত ৫ আগষ্টের পর থেকে চক্রটি নতুন করে বেপরোয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। তাই আমি এলাকাবাসীকে আহবান জানাবো আসুন আমরা সম্মিলিত ভাবে এদেরকে প্রতিরোধ করি। এলাকাবাসী এদেরকে যেখানেই পাবেন সেখানেই গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্ধ করবেন।
অপরদিকে এ বিষয়ে গাবতলী সোসাইটির সাধারন সম্পাদক কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা বলেন, সম্প্রতি আমাদের এলাকায় ঢুকে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যে তান্ডব চালাচ্ছে তাতে আমরা ক্ষুব্দ। আমি পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই গাবতলী সোসাইটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন সাহেবের নেতৃত্বে আমরা একতাবদ্ধ রয়েছি। যেকোনো সন্ত্রাস চাঁদাবাজী প্রতিরোধ করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
আমরা এলাকাবাসীকে আহবান জানাচ্ছি আসুন আমরা সকল প্রকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী আর মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
তিনি আরো বলেন আমরা আগামী শুক্রবার গাবতলী বাইতুল মোকাদ্দাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ ব্যাপারে আলোচনা ও প্রতিবাদ করবো। আমি এলাকাবাসী সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র এল ক য় এল ক ব স ন আমর গ বতল
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?