ফতুল্লা থানার গাবতলী এলাকায় সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে মাঠে নেমেছে সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ। আর এই গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী উৎস। সম্প্রতি এই উৎস বাহিনী ওই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে। 

মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী আর অপহরন করে মুক্তিপন দাবি করছে উৎস বাহিনী। গত দ’ুদিনে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। তাই গাবতলী এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষাভ বিরাজ করছে।

এদিকে এ বিষয়ে গাবতলীর এলাকার বাসিন্দা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, সম্প্রতি আমাদের প্রিয় গাবতলী এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ যে তৎপরতা চালাচ্ছে তাতে প্রশাসনের ভূমিকায় আমরা হতাশ।

আমি বিশ^াস করি স্থানীয় থানা পুলিশ আন্তরিক ভাবে চেষ্ঠা করলে কোনো সন্ত্রাসী পার পাবে না। যতোদূর জেনেছি এই সন্ত্রাসীরা কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জরিত নয়। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দলের নাম ভাঙ্গায়। 

তাই আমি গাবতলীবাসীকে আহবান জানাবো আসুন আমরা সকলে মিলে এই সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করি। আমরা গাবতলীবাসী একতাবদ্ধ আছি। কারো কোনো রকম ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই। আগামী দিনে আমরা অত্র এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাস্ত করবো না। 

বরং আমরা বলতে চাই গাবতলী সোসাইটির বলিষ্ট নেতৃত্বে অত্র এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা যেকোনো মূল্যে এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবো ইনশাআল্লাহ।

অপরদিকে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি গত কয়েকটা দিন ধরে কিছুটা অসুস্থ। তবে শুনতে পাচ্ছি একটি মাদক চক্র নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এই চক্রটি এতোদিন গাবতলীর বাহিরে ইসদাইর এলাকায় মাদক ব্যবসা এবং সন্ত্রাস চালিয়ে আসছিলো। 

কিন্ত ৫ আগষ্টের পর থেকে চক্রটি নতুন করে বেপরোয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। তাই আমি এলাকাবাসীকে আহবান জানাবো আসুন আমরা সম্মিলিত ভাবে এদেরকে প্রতিরোধ করি। এলাকাবাসী এদেরকে যেখানেই পাবেন সেখানেই গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্ধ করবেন।

অপরদিকে এ বিষয়ে গাবতলী সোসাইটির সাধারন সম্পাদক কাজী এনামুল ফেরদৌস মনা বলেন, সম্প্রতি আমাদের এলাকায় ঢুকে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা যে তান্ডব চালাচ্ছে তাতে আমরা ক্ষুব্দ। আমি পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই গাবতলী সোসাইটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জীবন সাহেবের নেতৃত্বে আমরা একতাবদ্ধ রয়েছি। যেকোনো সন্ত্রাস চাঁদাবাজী প্রতিরোধ করার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। 

আমরা এলাকাবাসীকে আহবান জানাচ্ছি আসুন আমরা সকল প্রকার সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী আর মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।

তিনি আরো বলেন আমরা আগামী শুক্রবার গাবতলী বাইতুল মোকাদ্দাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ ব্যাপারে আলোচনা ও প্রতিবাদ করবো। আমি এলাকাবাসী সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র এল ক য় এল ক ব স ন আমর গ বতল

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ব ইজতেমা মার্চে 

প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।

আরো পড়ুন:

শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা

দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না। 

মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”

বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”

বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।

২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।

৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ