কয়েক দিন আগে সোনা চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী রান্যা রাওকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই)। তার কাছ থেকে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।

রান্যা রাওয়ের বাবা সিনিয়র আইপিএস অফিসার কে. রামচন্দ্র রাও। বর্তমানে কর্নাটক পুলিশের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে রামচন্দ্র রাও এ অভিনেত্রীর সৎবাবা। রান্যা গ্রেপ্তার হওয়ার পর স্বাভাবিক কারণে আলোচনায় উঠে এসেছেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নিজের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। 

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রামচন্দ্র রাও বলেন, “মিডিয়াতে এ ধরনের খবর দেখে হতবাক এবং বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এসব বিষয়ে কিছুই জানতাম না। অন্য যেকোনো বাবার মতো আমিও বিস্মিত হয়েছিলাম। সে (রান্যা) আমাদের সঙ্গে থাকে না। সে তার স্বামীর সঙ্গে অন্যত্র বসবাস করে। পারিবারিক কারণে তাদের সঙ্গে কিছু সমস্যা রয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

১৬ কোটি টাকার সোনাসহ অভিনেত্রী গ্রেপ্তার

জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকার আত্মহত্যার চেষ্টা

রান্যা গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা চর্চা শুরু হয়। অনেকে দাবি করেন, তার বাবা পুলিশের কর্তা ব্যক্তি, সুতরাং দুদিন পরেই বেরিয়ে আসবেন। এ বিষয়ে রামচন্দ্র রাও বলেন, “আইন তার নিজের গতিতে চলবে। আমার ক্যারিয়ারে কোনো কালো দাগ নেই। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।” 

গত ৩ মার্চ রাতে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রান্যাকে। দুবাই থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে আসেন অভিনেত্রী রান্যা রাও। বিমানবন্দরে অভিনেত্রীর কাছ থেকে ১৪.

৮ কেজি সোনা জব্দ করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা সোনার আনুমানিক মূল্য ১২ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বেশি)। 

কন্নড় সিনেমার পরিচিত মুখ ৩১ বছরের রান্যা রাও। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে যেতেন এই অভিনেত্রী। ঘন ঘন আন্তর্জাতিক ভ্রমণের কারণে ডিআরআই অভিনেত্রীকে নজরদারিতে রেখেছিল। বিশেষ করে গত ১৫ দিনে চারবার দুবাই যাওয়ায় তার প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করেন সংশ্লিষ্টরা।

রান্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, কাস্টমস এবং নিরাপত্তা এড়িয়ে ভারতে মূল্যবান ধাতু পাচারের চেষ্টা করছিলেন তিনি। রান্যাকে ১৪ দিনের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে রাখা হয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আরো গুরুতর অভিযোগ আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র মচন দ র র ও

এছাড়াও পড়ুন:

করোনা প্রতিরোধে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা

ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য ডেস্কে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা।

সরেজমিনে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে গিয়ে দেখা গেছে, একজন স্বাস্থ্যকর্মী ভারত থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে। ভারতের আগরতলা থেকে আসা পাসপোর্ট গাড়ি যাত্রী উত্তম রায় জানান, বাংলাদেশে আসার পর ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য ডেস্কে নাম-মোবাইল নাম্বার এন্টি, তাপমাত্রা পরীক্ষা এবং মাস্ক ব্যবহার করতে বলেছেন। 

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য ডেস্কে অবস্থানরত কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিম মিয়া বলেন, ভারতে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ভারতের থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্যানিং করে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাদের জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথা আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনার সিম্পটম আছে এমন কোনো ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশে আসেনি।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হিমেল খান বলেন, ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নজরদারি ও সার্বক্ষণিক তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত কোন ভারতীয় যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক আইসোলোশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখনো নজরদারি ও অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে: আর্টিকেল নাইনটিন
  • করোনা প্রতিরোধে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা